ঢাকা, বুধবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৮ মে ২০২৫, ০০ জিলহজ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বসুন্ধরায় মুঘল ঐতিহ্যের ‘হেরিটেজ সুইটস’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২৫, মে ২৭, ২০২৫
বসুন্ধরায় মুঘল ঐতিহ্যের ‘হেরিটেজ সুইটস’ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় হেরিটেজ সুইটসের আউটলেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান | ছবি: জিএম মুজিবুর

মুঘল ঐতিহ্য ও স্বাদের অপূর্ব সংমিশ্রণে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ‘হেরিটেজ সুইটস’ এর যাত্রা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘সি’ ব্লকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে হেরিটেজ সুইটসের এই আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হেরিটেজ সুইটসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুঘল সম্রাটদের রাজসভা ও উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল বাহারি ও সুস্বাদু মিষ্টান্ন। সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে হেরিটেজ সুইটসে পরিবেশিত হবে আদি রসগোল্লা, কমলাভোগ, দিল্লি চমচম, ভোগসাগর, গুলাব জামুন, ছানার জিলাপিসহ আরও নানান ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি।

প্রতিটি মিষ্টি তৈরি হবে প্রাচীন মুঘল রেসিপি অনুসারে, যেখানে আধুনিক স্বাস্থ্যবিধি, দক্ষ কারিগর ও উৎকৃষ্টমানের উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে স্বাদ ও গুণগতমান। গ্রাহকদের স্বাস্থ্য ও স্বাদ দুটোই মাথায় রেখে, প্রতিটি পদে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বোচ্চমানের উপকরণ ও পরীক্ষিত প্রাচীন পদ্ধতি।



উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আইসিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার এম এম জসীম উদ্দীন বলেন, আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটস শুধু একটি মিষ্টির আউটলেট নয়, বরং এটি একটি অভিজ্ঞতা, যেখানে আপনি ফিরে পাবেন মুঘল আমলের রাজকীয় আতিথেয়তা ও স্বাদের ঐতিহ্য। বাংলার মুঘল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন হচ্ছে আমাদের মিষ্টান্ন। সেই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে আমরা আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটসের যাত্রা শুরু করেছি।

তিনি বলেন, মুঘল যুগের অনবদ্য স্বাদ, পরিবেশনা ও সৌন্দর্যকে আধুনিক স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিবেশন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, খাদ্য শুধু স্বাদ বা পুষ্টির উৎস নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিরও বাহক। তাই, আমাদের প্রতিটি মিষ্টি তৈরি হয়েছে প্রথাগত রেসিপি ও উৎকৃষ্ট উপকরণে, যাতে পুরনো দিনের স্বাদ ও গুণ বজায় থাকে। আমাদের প্রত্যাশা, হেরিটেজ সুইটস শুধু একটি মিষ্টির আউটলেটই হবে না, বরং এটি হবে ঐতিহ্য, স্বাদ ও আনন্দের এক মিলনমেলা।

এম এম জসীম উদ্দীন আরও বলেন, হেরিটেজ সুইটস ৭ বছর আগে থেকে শুরু করি। হেরিটেজ সুইটসের মিষ্টি বানানোর যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ায় রেসিপি নিয়ে গবেষণা করার জন্য আমাদের একটি টিম আছে। যারা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি বানানোর যে প্রক্রিয়া, ছানাকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া করে তারপর মিষ্টি বানানো হয়। এখনকার আধুনিক মিষ্টি বানানোর প্রক্রিয়া অনেকটা ফ্যাক্টরি বেইজড হয়ে গেছে। আমরা দীর্ঘদিন ওই প্রক্রিয়া অনুশীলন করেছি। আমরা দেখলাম এই প্রক্রিয়ায় মিষ্টি অনেক সুস্বাদু হয় এবং এই মিষ্টিতে কোনো প্রিজারভেটিভ দিতে হয় না। মিষ্টিতে ফ্রুড গ্রেড বা নন ফুড গ্রেড কালার দিতে হয় না। মিষ্টিতে কৃত্রিম কোনো উপাদান যোগ করতে হয় না। এই মুহূর্তে ঢাকার মধ্যে একটি মাত্র ব্র্যান্ড আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটস যেখানে কোনো প্রিজারভেটিভ, কোনো কৃত্রিম উপাদান ছাড়াই এখানে মিষ্টি বানানো হয়।

তিনি বলেন, আমাদের মিষ্টি বানানোর অভিজ্ঞতা অনেক দিনের, আউটলেট হিসেবে আজকে উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আজকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রথম আউটলেট শুরু হলো। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় শহরের আনাচে কানাচে আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটসের অভিযাত্রা চলবে।

আয়োজকরা জানান, আইসিসিবি হেরিটেজ সুইটসের আউটলেটের পরিবেশেও ফুটে উঠেছে মুঘল আমলের স্থাপত্য ও সৌন্দর্য, যা আগত গ্রাহকের মুহূর্তকে করে তুলবে আরও স্মরণীয়। তাই মুঘল ঐতিহ্য ও স্বাদের মাঝে হারিয়ে যেতে চলে আসুন হেরিটেজ সুইটসের আউটলেটে।

আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।