চট্টগ্রাম: ৪২ টাকার পরোটা-ভাজি, ২৩০ টাকার কেক ও কোমলপানীয় এবং ৩০০ টাকার ভাত আর চা-নাশতার বিলের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসে (ইএফডি) ভ্যাট পরিশোধ করে পুরস্কার জিতেছেন চট্টগ্রামের তিন জন। তারা হলেন- রাউজানের দলইনগরের মো. শাহজাহান, চান্দগাঁও ফরিদেরপাড়ার মো. আরিফুল ইসলাম, আগ্রাবাদের জাম্বুরি মাঠ সরকারি কলোনির মো. আবদুস সোবহান।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষ সৈকতে তাদের হাতে অষ্টম লটারির চতুর্থ পুরস্কার ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।
‘স্বচ্ছ হবে ভ্যাট প্রদান; ইএফডিতে সমাধান’ স্লোগান সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইএফডিএমএস থেকে ইস্যু করা চালানের ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে আর্থিক পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০২০ প্রণয়ন করে।
ভ্যাটের উপ কমিশনার ফাতেমা খায়রুননুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুগ্ম কমিশনার সেলিম শেখ। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কমিশনার মুশফিকুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভোক্তা বা ক্রেতা কর্তৃক প্রদত্ত মূসক/ভ্যাট যাতে সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন দোকানে ইএফডি মেশিনা বসানো হয়েছে। প্রতিটি কেনাকাটার পর ইএফডি মেশিন থেকে চালান নেওয়া হলে ক্রেতার পরিশোধিত ভ্যাট/মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ইতিপূর্বে স্থাপিত ৫২০টি মেশিনের পাশাপাশি আরও মেশিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি ইএফডি মেশিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমার বিষয়টি নিশ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়াও ক্রেতাদের/ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসের ৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করেছে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে লটারির ড্র বিজয়ীরা ভ্যাট কমিশনারের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন সবাইকে কেনাকাটার সময় চালান সংগ্রহ করে তা লটারির জন্য সংরক্ষণের অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
এআর/টিসি