ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

করদাতাদের আশাতীত সাড়া পেয়েছি: সৈয়দ মো. আবু দাউদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
করদাতাদের আশাতীত সাড়া পেয়েছি: সৈয়দ মো. আবু দাউদ আয়কর দিবসের সংক্ষিপ্ত আয়োজন

চট্টগ্রাম: বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে সীমিত পরিসরে আয়কর দিবস উদযাপন করেছে আয়কর বিভাগ। সোমবার (৩০ নভেম্বর) নগরের আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকার কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্বচ্ছ ও আধুনিক কর সেবা প্রদানের মাধ্যমে করদাতাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ’। আয়কর দিবসে বিপুল সংখ্যক করদাতা রিটার্ন দাখিল করতে আসেন চট্টগ্রামের কর অঞ্চলগুলোতে।

যদিও রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-৩ এর কমিশনার সৈয়দ মো. আবু দাউদ, কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ, কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও কর আপিল কমিশনার মো. হেলাল উদ্দিন সিকদার।  

করদাতারা রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।  ছবি: উজ্জ্বল ধরঅন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কর কমিশনার সফিনা জাহান, মো. মাহমুদুর রহমান, শামিনা ইসলাম, হেমল দেওয়ান, মনোয়ার আহমেদ, যুগ্ম কর কমিশনার ভুবন মোহন ত্রিপুরা, মো. সাইফুল আলম, মো. মাসুদ রানা, ফরিদ আহমেদ, ড. মো. কাওসার আলী, প্রতাপ চন্দ্র পাল, মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।  

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর কমিশনার আবু দাউদ বলেন, এবার আসলে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আয়কর দিবস হচ্ছে। সারা দেশ আসলে চাপা বেদনায় ভাসছে। আমরা মনে করেছিলাম এ শোকার্ত সময়ে যে রকম সাড়া আমরা সবসময় পাই সেভাবে পাব না। কিন্তু তারপরও আমাদের আশার বাইরে আমরা সাড়া পেয়েছি। এ জন্য আমরা করদাতাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। তারা যে এসেছেন এটা গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন কর মেলা, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেওয়া আমাদের সেবার ফসল। তারা আস্থা খুঁজে পাচ্ছেন আমাদের মাঝে।  

করোনার কারণে এবার মেলা হচ্ছে না, আমাদের সেবা বুথের জন্য নির্দিষ্ট টার্গেট নেই। আমাদের নিজস্ব টার্গেট নিজেদের মতো আছে এবং সেটাতে আমরা পৌঁছাতে পারবো বলে আশা করি। করদাতাদের আশাতীত সাড়া পেয়েছি।  

আয়কর দিবসে রিটার্ন জমা দিতে আসা করদাতার ভিড়এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কর অঞ্চল-৩ এ রিটার্ন ২৫ হাজার অতিক্রম করেছে। চার অঞ্চলে মিলে লক্ষাধিক রিটার্ন দাখিল হয়েছে।  

কর কমিশনার আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, কর মেলা আয়োজনের মূল লক্ষ্য করদাতাদের সেবা দেওয়া, রিটার্ন দাখিলে সহায়তার মাধ্যমে সংখ্যা বাড়ানো। মেলার সঙ্গে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার সম্পর্ক নেই। করোনার কারণে এবার করদাতাদের সব সেবা দিতে পারলেও ব্যাংকের বুথ স্থাপন করা যায়নি। রিটার্নের সংখ্যা চার কর অঞ্চল মিলে গত বছর ৩০ নভেম্বর যা ছিল তা এবার দুই দিন আগেই ছাড়িয়ে গেছে। রিটার্ন দাখিলের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। যা ১০-১৫ শতাংশ।  

কর অঞ্চল-২ এ গত বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কর অঞ্চল-২ এ ৩২ হাজার ২০০ রিটার্ন দাখিল হয়েছিল। গতকাল এটা পেরিয়েছে।   

>> রিটার্ন দাখিলে করদাতার ভিড় চট্টগ্রামে

>> রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়লো ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad