ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাস্থ্যকর্মীদের আদেশ নয়, সার্ভিস নির্ভর হওয়ার তাগিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
স্বাস্থ্যকর্মীদের আদেশ নয়, সার্ভিস নির্ভর হওয়ার তাগিদ

চট্টগ্রাম: এসডিজি’র লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ৩টি সরাসরি স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলেও স্বাস্থ্যখাতের সূচকসমূহ যথাযথভাবে পরিপূর্ণ করতে হবে।

এ দায়িত্ব পালনে সামনের সারির যোদ্ধা হচ্ছেন মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদেরকে আদেশ নির্ভর না হয়ে সার্ভিস নির্ভর হতে হবে।
 

বুধবার (২১ অক্টোবর) নগরের একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক সংস্থা পাথপাইন্ডার আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘কমিউনিটি পর্যায়ে প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা এবং গর্ভপাত পরবর্তী সেবা বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।  

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুস সালাম খান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, উপ-পরিচালক ডা. শফিউল ইসলাম, ডা. উ খ্যে উইন, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী- সিএসসিপি, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের জন্য এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যু হার শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে গ্রাম পর্যায়ে এখনো অনেক গর্ভবতী মা প্রসবকালীন প্রাতিষ্ঠানিক সেবা থেকে বঞ্চিত। অনেকে লোক লজ্জার ভয় বা সংকোচের কারনে প্রাতিষ্ঠানিক সেবা নিতে আগ্রহীও হয় না।  

বক্তরা আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের এসব বাধা দুর করতে হবে। গর্ভবতী মা’দের নিরাপদ প্রসব এবং দুই সন্তান নেওয়ার মধ্যবর্তী সময় সম্পর্কিত স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে যথাযথ ধারণা দিতে হবে। নবজাতক ও মা’দের চাহিদা মোতাবেক সেবা দিতে হবে। সেবা দাতা ও সেবা প্রহীতার মধ্যে দুরত্ব কমাতে হবে।  

‘নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে সরকার সব সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। মেডিক্যাল সেন্টারগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মালামালের কোনো ঘাটতি নেই। তবে অসামঞ্জস্যতার কারণে অনেক অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে যায়। তা নিরসন করতে হবে। ’ বলেন বক্তরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।