শেষ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট। সাড়া মেলে সঙ্গে সঙ্গেই।
রোগীর জামাতা মো. জাবেদ খান বাপ্পি বাংলানিউজকে জানান, তাদের বাসা কোতোয়ালীর আসাদগঞ্জে। বুধবার রাতে হঠাৎ শাশুড়ির শ্বাসকষ্ট হলে তাড়াতাড়ি নিয়ে যান বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে। চিকিৎসক দেখে অক্সিজেন সাপোর্ট লাগবে বলেন। কিন্তু হাসপাতালে অক্সিজেন খালি ছিলো না। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করলেও অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছিলো না।
পরে আমার স্ত্রী আসমা উল হুসনা এমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি গ্রুপে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন লাগবে বলে পোস্ট দেন। সঙ্গে সঙ্গে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের লোকজন যোগাযোগ করেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে তারা হাসপাতালে অক্সিজেন নিয়ে আসেন। শাশুড়ি অক্সিজেন সাপোর্ট পেয়ে সুস্থ বোধ করেন।
মো. জাবেদ খান বাপ্পি বলেন, আসলে ওই মুহূর্তে অক্সিজেন না পেলে ঘটনা অন্যরকম হতো। চিকিৎসকরা বলেছেন শাশুড়ির নিউমোনিয়া হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওই সংগঠনকে ধন্যবাদ, তারা এমন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে তারা জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন সরবরাহ করছেন। প্রথমদিকে তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সেবা দিলেও এখন প্রায় ২০টি সিলিন্ডার রয়েছে।
এ ছাড়া ৫টি অ্যাম্বুলেন্স নগরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা রোগী ও সাধারণ রোগীদের আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৬১ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। এসব সেবা একেবারে বিনামূল্যে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, শুধু অক্সিজেন সরবরাহ বা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নয়। আমরা মরদেহ দাফন ও সৎকারও করছি। এখন পর্যন্ত সংগঠনের উদ্যোগে ২০৭ মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
>> ছয় করোনা আক্রান্তের মরদেহ দাফন করেছে আল মানাহিল
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
জেইউ/টিসি