‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বাস করা এসব লোকজনের জন্য নগরের বিভিন্ন এলাকায় চালু করা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও।
বুধবার (১৭ জুন) সকাল থেকে নগরের সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সচেতন করতে মাইকিং কার্যক্রম শুরু হয়।
এসব লোকজনকে সরিয়ে নিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন পাহাড়গুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ভারী বর্ষণের আভাস পেয়ে সকাল থেকেই নগরের ৬টি সার্কেলের অধীনে থাকা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণদের সরাতে মাইকিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা এইসব লোকদের জন্য নগরের চান্দগাঁও, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ ও কাট্টলী এলাকায় ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে যে কেউ আশ্রয় নিতে পারবেন।
এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
সেই সঙ্গে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বাংলানিউজকে জানান, বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৭৮ মিলি মিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এমআর/টিসি