ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ৭টার পর থেকে বন্ধ দোকান, প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২০
চট্টগ্রামে ৭টার পর থেকে বন্ধ দোকান, প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নির্দেশনা অনুযায়ী নগর এলাকায় বন্ধ রয়েছে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান বন্ধ করে দেন। কয়েকটি এলাকায় দু একটি দোকান খোলা ছিল পুলিশ যাওয়ার পর সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নগরের বাদুরতলা এলাকার বিকাশের দোকান পরিচালনা করা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম লিংকন বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। এখানে সব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

সিএমপির সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ রয়েছে। দুইটি মুদি দোকান খোলা পেয়েছিলাম। তাদেরকে বলার পর তারা দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।

বন্ধ দোকনপাট

তিনি বলেন, আমরা অলি-গলিতে আড্ডা বন্ধ করেছি। আজকে তেমন কোথাও আড্ডা দিতে দেখা যায়নি। আমরা মাইকিং করেছি কাউকে আড্ডা দিতে দেখলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।  

রোববার (৫ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ ঘোষণা করে আদেশ জারি করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

নিষেধাজ্ঞায় কাঁচাবাজার, মুদিদোকানসহ সব ধরনের দোকান বন্ধ ঘোষণা করেন সিএমপি কমিশনার। কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় জরুরী সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্যপণ্য ও রফতানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন ব্যতিরেকে সকল ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচল, প্রবেশ ও বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিএমপি।

সোমবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন  সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। সোমবার রাত ১০টা থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে জানানো হয়েছে সিএমপির পক্ষ থেকে।

নগরের প্রবেশের মুখগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।  

সিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। রাস্তায় কাউকে দেখলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কাউকে অহেতুক রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

নোবেল চাকমা বলেন, জরুরী সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্যপণ্য ও রফতানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন ব্যতিরেকে কোনো ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।