শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে ‘স্মার্ট সিটি চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিইডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট মানে উৎকৃষ্ট।
তিনি বলেন, পোর্ট কানেকটিং ও এক্সেস রোড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চার বছরে বেশি অগ্রগতি হয়নি। আমরা সন্তুষ্ট নই। মেনে নেওয়ার মতো নয়। ঠিকাদার সো স্মার্ট! ম্যাজিক সায়েন্স নেই। সড়ক বানাবেন মানুষের জন্য। মাস্টারপ্ল্যান আছে? দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। সারাবিশ্বে সড়কের পাশে ইউটিলিটি লাইনের জন্য আলাদা জায়গা থাকে। স্থপতিরা কীভাবে বক্স কালভার্ট করলেন? আপনি আমাকে দোষারোপ করবেন, আমি আরেকজনকে করবো। এটি সমাধান নয়।
একসঙ্গে সড়ক কাটা না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের বিভিন্ন প্রকল্পের টাইম ফ্রেমের কারণে একেক প্রতিষ্ঠান সড়ক কাটে। পুরো দেশ একটি মানবদেহের মতো। ওষুধ দিয়ে শুধু একটি হাত শক্তিশালী করা যায়? তাই সমন্বিত পরিকল্পনার বিকল্প নেই। মিরসরাই প্রকল্পে সমন্বিত প্রোগ্রাম নেওয়া আছে। ওয়াসার পানি যাবে, বর্জ্য শোধনাগার থাকছে। গণতন্ত্র কি শুধু রাজনীতিকদের জন্য। সাংবাদিকরা সমালোচনা করলে আমি সংশোধন হবো। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন মেয়র ছিলেন, আগ্রাবাদ হোটেলে অফিস করতাম। গাড়ি খুব কম ছিলো, এসি ছিলো না। ঘূর্ণিঝড়ের পর এসি গাড়ি কিনি। এ শহরে ফুটপাত, সড়ক, অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছিলো। মহিউদ্দিন ভাই সব ঠিক করে ফেললেন।
সমন্বয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিডিএ চেয়ারম্যানকে দাওয়াত না দিলে আমাকে কেন দাওয়াত দিলেন। মেয়র নেই কার সঙ্গে কথা বলবো? ওয়াসা নেই, পিডিবি নেই।
নগরের খালের মুখে স্লুইসগেট স্থাপন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিআই শিট নোনা পানির জন্য উপযুক্ত নয়। নেদারল্যান্ডসের মতো নন মেটালিক শিট ব্যবহার করতে হবে। একেকজন একেক প্রকল্প নিয়ে আসে। বাছবিচার করা হয় না। বিএনপির আমলে অনেক স্লুইসগেট করে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এগুলোর আবার মেয়াদ থাকে।
তিনি বলেন, এলাকার প্রকল্পে লিডারশিপ নেন। মিলেমিশে কাজ করতে হবে, করাতে হবে। হালিশহরে পানি উঠে যাবে। এ নগরে বাস বে নেই। ফুটপাত নেই। দায়ী করে লাভ নেই। এখন সমাধান করতে হবে। পাবলিক হিয়ারিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সুন্দর নগর দেখতে চাই। খালি হাত-পা স্মার্ট হলে হবে না যদি জুতায় ময়লা থাকে। গাড়ি বাড়ি অবকাঠামো সব স্মার্ট হতে হবে। আমার মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৩ শতাংশ গ্রোথ। কারণ আমরা পর্যালোচনা সভা করি নিয়মিত।
বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সমন্বয়ের যে সুযোগ আছে তাতে সংসদ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অংশীজনের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সমন্বয়কে আইনি কাঠামোয় আনলে সুফল পাবো। সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নে লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়া উচিত।
সংসদ সদস্য এমএ লতিফ বলেন, স্মার্ট সিটি ভাবার আগে ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেন। চট্টগ্রাম ছাগলনাইয়ায় পরিণত হয়েছে। পোর্ট কানেকটিং এলাকার প্রতিটি মানুষের ফুসফুসে আধাকেজি ধুলাবালি আছে। পদ্মা সেতু হয়ে যাচ্ছে, চট্টগ্রামের দুইটি সড়ক হয়নি।
গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এআর/এসি/টিসি