দাদা থেকে নাতনি- পরিবারের তিন প্রজন্ম এ বিদ্যালয়ে পড়েছেন। তাই উচ্ছ্বাসটাও ছিল বেশি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে তারা ছিলেন খুশিতে আত্মহারা। একটু আবদার করতেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেও আপত্তি করেননি।
বিদ্যালয়ের একাল-সেকালের পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাইলে মৃদু হেসে তিনি বললেন, ‘অনেক পার্থক্য। আমাদের সময় লেখাপড়ার মান ভালো ছিল। এখন তা নিন্মমুখী। বিষয়গুলোতে কর্তৃপক্ষের একটু সুনজর দেওয়া দরকার’।
সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে এমন অনেকেই এসেছেন। বহুদিন পর পুরোনো বন্ধুদের পেয়ে আনন্দ যেন বাঁধনহারা।
অনুভূতি জানতে চাইলে মুহাম্মদ রিয়াজুল হারুন বাংলানিউজকে বলেন, ব্যস্ত জীবনে পুরোনো বন্ধুদের পেতে এটি একটি উপলক্ষ। দশ বছর একসঙ্গে পড়ালেখা করা বন্ধুদের দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। এমন একটি আয়োজন করায় আয়োজক কমিটিকে অভিনন্দন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে’ সকাল ১১টায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে।
শোভাযাত্রা শেষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ডা. প্রীতিশ বডুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। সুবর্ণজয়ন্তী বক্তা ছিলেন চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব রাশেদ বিন আমিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি