ডিআইজি বলেন, আমার এক ভাই মোটর শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আরেক ভাই পরিবহন মালিক।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে নগরের হালিশহরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ আয়োজিত এক সচেতনতামূলক সভায় খন্দকার গোলাম ফারুক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ আইনে একটি মামলাও আমরা দিইনি। এর কারণ হচ্ছে আমরা সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরত্ব দিচ্ছি। আইন বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ, ড্রাইভার এবং মালিকদের সচেতন করছি। কারণ সচেতনতা সৃষ্টি না হলে এ আইনের অপব্যবহার হবে।
ডিআইজি বলেন, আজকে পরিবহন সেক্টরের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে লম্বা বক্তৃতা দিতে হবে। তবে সড়ক দুর্ঘটনা, যানজটসহ পরিবহন নৈরাজ্য ঠেকাতে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং, এডুকেশন, এনফোর্সমেন্ট এবং এনভাইরনমেন্ট এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ চারটি মৌলিক বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে পরিবহন সমস্যা আর থাকবে না।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, শুধু রাস্তা বানালে হবে না। এসব রাস্তা সঠিকভাবে বানানো হচ্ছে কী না- তা দেখতে হবে। আইন প্রণয়ন করলে হবে না। এসব আইন সবাইকে জানাতে, সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে। আইন না মানলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। টাকা খেয়ে ক্রুটিপূর্ণ গাড়ি ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
‘আজকের এই সভার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে জানানো। আইন মেনে গাড়ি চালাতে উদ্বুদ্ধ করা। আপনারা সবাই আইন জেনে, মেনে চললে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আসবেই। ’ বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনার সভাপতিত্বে সভায় প্রশাসন, পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এমআর/টিসি