ভোলায় লাইটারডুবির সময় ‘বসুন্ধরা ফুড-১’ ছিলো হাতিয়ায়
| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত ‘বসুন্ধরা ফুড-১’। ছবি: সোহেল সরওয়ার
চট্টগ্রাম: ভোলার মেঘনা নদীতে সিমেন্ট ক্লিংকার বোঝাই ‘এমভি তানভির তাওসিব-২’ জাহাজটি দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার সময় ‘এমভি বসুন্ধরা ফুড-১’ জাহাজটি ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে, হাতিয়ায় ছিলো।
>> জাহাজডুবি: ক্ষতিপূরণের লোভে মিথ্যে অভিযোগ!
এমনকি বসুন্ধরা ফুড-১ জাহাজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) খবরও পেয়েছেন শনিবার (৩১ আগস্ট)।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত ‘বসুন্ধরা ফুড-১’ জাহাজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কথা বলে, লগবই দেখে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ সময় জাহাজটির গায়ে সংঘর্ষের কোনো চিহ্ন এমনকি আঁচড়ও দেখা যায়নি।
ছবি: সোহেল সরওয়ার" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/bg620190901182804.jpg" style="margin:1px; width:100%" />‘বসুন্ধরা ফুড-১’ জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৬ আগস্ট আমরা পানগাঁও বসুন্ধরার ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করি। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ভোলার সেলিম বাজার, চর গজারিয়ায় পৌঁছি। সেখানে নোঙর করে অবস্থান করি। পরদিন ২৭ আগস্ট ভোর ৫টায় জাহাজ ছাড়ি। সকাল আটটায় হাতিয়ায় নোঙর করি। সেখানে দুই দিন অবস্থান করি। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে (কুতুবদিয়া) গমবোঝাই জাহাজ আসার খবর পেয়ে ২৯ আগস্ট চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। চট্টগ্রাম পৌঁছে ৩১ আগস্ট মাদার ভ্যাসেল বা বড় জাহাজ থেকে গম লাইটারিং (খালাস) করি।
তিনি বলেন, বসুন্ধরা ফুড-১ জাহাজের সঙ্গে দুর্ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ জাহাজটির সঙ্গে আমাদের চলাচলের দূরত্ব ২৪ ঘণ্টারও বেশি। আমাদের জাহাজ ঢাকা থেকে ছাড়ি ২৬ আগস্ট। জাহাজটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে ২৭ আগস্ট।
২৫৫ ফুট লম্বা, ৪ দশমিক ৪ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) বসুন্ধরা ফুড-১ জাহাজে ১৭ জন নাবিক (লাইটার শ্রমিক) রয়েছেন।
বসুন্ধরা ফুড-১ জাহাজের মাস্টার আকবর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ক্লিংকার বোঝাই লাইটার জাহাজটি দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার স্থানটি (ভোলার বিরবিরি বয়া) ৪০ ঘণ্টা আগে পেরিয়ে এসেছে ‘বসুন্ধরা ফুড-১’। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আমাদের খালি জাহাজ যদি একটি পণ্যবোঝাই জাহাজের সঙ্গে সামান্য ধাক্কাও লাগতো তবে সেটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ১ হাজার ৮০০ টন গম বোঝাই করতে পারতো? প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি জানান, সাগর ও নদী উত্তাল না থাকলে স্বাভাবিক সময়ে ১৮-২৮ ঘণ্টায় বন্দরের বহির্নোঙর থেকে পণ্যবোঝাই একটি লাইটার পানগাঁও পৌঁছাতে পারে। তবে এখন উজানের পানির স্রোত, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা সময় বেশি লাগে।
বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সুপারভাইজার মো. উজির আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের জাহাজের সঙ্গে কোনো জাহাজের সংঘর্ষ হয়নি। এ অভিযোগ মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এআর/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।