সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলানিউজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা ফেরাতে বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী।
মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ফেরাতে আমরা এখনও অং সান সু চি’র দিকে তাকিয়ে আছি।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বুঝাতে হবে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব লংঘন হয়- এমন কোনো কাজ বাংলাদেশ করবে না। কোনো রোহিঙ্গাকে এ কাজে প্রশ্রয় দেবে না।
‘এমন অনেক উদাহারণ আছে, আরাকান আর্মি কিংবা রোহিঙ্গাদের যারা এদেশে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে এসেছে- তাদের ধরে আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছি। এসব উদাহারণ সেনাবাহিনীর জেনারেলদের কাছে তুলে ধরে তাদের আশ্বস্ত করতে হবে। ’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এসডিজি অর্জনে বহুদূর এগিয়েছে। আমাদের মাথা পিছু আয় দ্রুত বাড়ছে। এ সময় যেখানে আমাদের কূটনীতিকরা বিদেশে শ্রমবাজার কিংবা্ দেশীয় পণ্যের রফতানি বাড়াতে তৎপরতা চালাবেন সেখানে রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে সময় ব্যয় করছেন। বাংলাদেশের জন্য এটি দুঃখজনক। একেবারে অনাকাঙ্খিত।
‘মিয়ানমার তাদের এতোগুলো মানুষ আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার কারণে আমাদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। রোহিঙ্গা যুবকরা ক্যাম্পে বসে থাকার কারণে তাদের হতাশা বাড়ছে। অপরাধে জড়াচ্ছে। এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকেও এর জন্য ভোগতে হবে। ’ বলেন এ নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, উপকৃত হবে ভারত, চীন, মিয়ানমারসহ এ অঞ্চলের সবাই।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এমআর/টিসি