চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সরকারি খাতে বকেয়া ১৪ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার ৫২৬ টাকা। বেসরকারি খাতে ৬১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮২৫ টাকা বকেয়া।
এ ছাড়া সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এমন গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা ৭ কোটি ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৮০২ টাকা।
ওয়াসা’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ টাকা আদায়ে সংস্থাগুলোকে চিঠি দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পানির বকেয়া বিল আদায়ে খেলাপি গ্রাহকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বকেয়া আদায়ের জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযোগ রয়েছে, বকেয়া আদায়ে ওয়াসা আলাদা উদ্যোগ নিচ্ছে না। কেবল ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর নির্ভর করছে। এজন্য বকেয়ার পরিমাণ উল্টো বাড়ছে।
ওয়াসা’র ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৬ লাখ ৩১ হাজার ১৩২ টাকা বকেয়া বিল আদায় করা হয়েছে। ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেগম লুৎফুন নাহারের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব রাজস্ব আদায় করা হয়।
ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, এত টাকা বকেয়া একদিনে হয়নি, ধীরে ধীরে বেড়েছে বকেয়ার পরিমাণ।
‘খেলাপি গ্রাহকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, নিয়মিত চিঠি যাচ্ছে। অনেক গ্রাহক চিঠি পেয়ে বকেয়া পরিশোধ করছেন। যারা করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ’
বকেয়া আদায়ে আলাদা কর্মসূচি নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে এমডি একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, মিটার রিডাররা নিয়মিত গ্রাহকদের বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানাচ্ছেন। সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তবে আপাতত আলাদা কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
নগরে বর্তমানে দৈনিক ৪২ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। বিপরীতে ৩৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে ওয়াসা। এর মধ্যে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার, মোহরা থেকে ৯ কোটি লিটার, মদুনাঘাট থেকে ৯ কোটি লিটার ও গভীর নলকূপ থেকে ৪ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া পানির চাহিদা ও সরবরাহ ঘাটতি পূরণে ৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প-২ এর কাজ শেষ হলে শতভাগ পানির চাহিদা পূরণ হবে বলে ওয়াসা দাবি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি