বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সমিতিভুক্ত ১১২ জন এবং এর বাইরে ১৫০ জন আড়তদার এবার চট্টগ্রাম অঞ্চলে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করছেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালেও প্রক্রিয়াজাত চামড়া এসেছে।
জানা গেছে, কয়েক হাত ঘুরে কাঁচা চামড়া আড়তে যাওয়ায় কোরবানি দাতারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।
কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিন গরু, মহিষ ও ছাগলের প্রায় ৭৫ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতি বর্গফুট লবণ দেয়া চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কেনা হচ্ছে। ছোট প্রতি পিস চামড়া ৩শ থেকে ৪শ টাকা, মাঝারি আকারের চামড়া ৪শ থেকে ৫শ টাকায় কিনছি। এছাড়া মহিষের চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা, ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট ১০ টাকায় কেনা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ২২টি ট্যানারির মধ্যে এখন টিকে আছে মদিনা ট্যানারি ও রিফ লেদার। ইটিপি না থাকায় মদিনা ট্যানারির কার্যক্রম বন্ধ আছে। রিফ লেদার ৫-৭ শতাংশ চামড়া কিনে থাকে। অবশিষ্ট চামড়া ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করতে হয়।
গত দুই বছরে চট্টগ্রামের কয়েকজন আড়তদারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে আটকা পড়েছে জানিয়ে কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত ট্যানারি না থাকায় ঢাকার ট্যানারি মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো দর নির্ধারণ করে দেয়। দুই বছর আগে কোরবানির চামড়া বিক্রির সব টাকা এখনও পাননি অনেক আড়তদার।
এদিকে আড়তদাররা জানিয়েছেন, আজকালের মধ্যে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও লবণ দেওয়া কাঁচা চামড়া আড়তে এসে পৌঁছাবে। তবে লবণ না দেওয়ায় বেশকিছু চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। সেসব চামড়া কেনা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
এসি/টিসি