বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ।
>> ঘূর্ণিঝড় ফণী: বিচিং জাহাজগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশনা
সভায় বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগীয় প্রধান, টার্মিনাল, শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটরসহ স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর ৪ নম্বর সংকেত দেখালে বন্দরের গাইডলাইন অনুযায়ী জরুরি সভা আহ্বান করার বিধান রয়েছে।
জেটিতে পুরোদমে অপারেশন চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বন্দর চ্যানেল (কর্ণফুলী) থেকে সব নৌযান শাহ আমানত সেতুর পূর্বপাশে বা নিরাপদ পোতাশ্রয়ে পাঠানোর, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল, বন্দর হাসপাতালে জনবল বাড়ানো, জেটির অভ্যন্তরে অ্যাম্বুল্যান্স রাখা, ১০০ অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োজিত রাখা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, বন্দর জেটিতে বর্তমানে ১৬টি এবং স্পেশাল জেটিতে ৫টি জাহাজে কার্গো বা কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করেছে। একই সঙ্গে জেটিতে পানি ঢোকার পথ থাকলে বন্ধ করে দেওয়া, নদীর কাছের কনটেইনার সরিয়ে ফেলা, খালি কনটেইনার একটির ওপর আরেকটি পর্যন্ত রাখা, খালি কনটেইনারের দরজা খোলা থাকলে বন্ধ করে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যসচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। দুইটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বন্দর সংশ্লিষ্টদের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এআর/টিসি