ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঘূর্ণিঝড় ফণী: বিচিং জাহাজগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় ফণী: বিচিং জাহাজগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশনা সীতাকুণ্ডে বিচিং করা জাহাজের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে নৌ বাণিজ্য দফতর

চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কায় সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন শিপইয়ার্ডে ভাঙার জন্য বিচিং করা (কূলে টেনে আনা) জাহাজগুলো পাথর বা পানি ঢুকিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে নৌ বাণিজ্য দফতর।

বুধবার (১ মে) দফতরের প্রিন্সিপাল অফিসার নৌ প্রকৌশলী সাজিদ হোসেন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেন।

>> ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: বন্দরগুলোতে ৪ নম্বর সংকেত

এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সামুদ্রিক ঝড় ‘ফণী’ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যার পর কলকাতা, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

উপকূল অতিক্রম করার সময় ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। একই সময় জোয়ারের কারণে ঢেউয়ের উচ্চতা অনেক বাড়লে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

আটটি প্রস্তুতিমূলক নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডে বিচিং করা জাহাজগুলো যাতে ভেসে যেতে না পারে তার জন্য সেগুলোর মধ্যে ব্যালাস্ট (পাথর) বা জাহাজের হালের মধ্যে বড় বড় ছিদ্র করে দিতে হবে। সব ধরনের জাহাজ ভাঙা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। বিচিং করা জাহাজের প্রতি সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখতে হবে। কমপক্ষে একটি টাগবোট ইয়ার্ডের কাছাকাছি রাখতে হবে। জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে। বিচিংয়ের জন্য অপেক্ষমাণ জাহাজে দুইটি নোঙর ব্যবহার করতে হবে। নৌযানের সব সামগ্রী ভালোভাবে বেঁধে রাখতে হবে।

নৌ প্রকৌশলী সাজিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ কলকাতা ও খুলনার ওপর দিয়ে গেলেও চট্টগ্রামে এর প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া গতিপথ পূর্বদিকে পরিবর্তিত অর্থাৎ বেঁকে গেলে চট্টগ্রাম উপকূল ও আশপাশের এলাকায় ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে। তাই বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম না করা পর্যন্ত সব মাছধরা নৌযান, ট্রলার, কার্গো বোট, কোস্টার, ট্যাংকার, যাত্রীবাহী নৌযানকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন এবং সাগরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।