ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৫ দিনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৩০ দিনে উচ্ছেদ পাহাড়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
১৫ দিনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৩০ দিনে উচ্ছেদ পাহাড়ে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রামঃ নগরের ১৭টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা ৮৩৫ পরিবারকে ১৫ মে এর মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিভাগীয় কমিশনার ও পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় ৩০ এপ্রিল এর মধ্যে ১০টি ব্যক্তি ও ৭টি সরকারি মালিকানাধীন পাহাড়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানিসহ সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং ১৫ মে এর মধ্যে সব ধরণের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা ৮৩৫ পরিবারবারকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কমিটির সদস্যরা।

বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।  ছবি: সোহেল সরওয়ার

দখলদারদের তালিকা তৈরির নির্দেশ

বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে যারা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় তাদের হাজতে ঢুকিয়ে দিতে হবে।

অবৈধ দখলদারদের কারণে পাহাড়ে মৃত্যু হবে, সরকার সমালোচনার মুখে পড়বে, এই সুযোগ আমরা কাউকে দেবো না।

তিনি বলেন, এই দুর্বৃত্তরা চাপ প্রয়োগ করে, মাস্তানি করে গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, বিদ্যুতের লাইন সংযোগ নেয়। কারণ এসব সংযোগ থাকলে বাড়তি ভাড়া আদায় করা যায়। ‘আমি অমুক নেতা। আমার দায়িত্ব এসব’ বলে যারা এ ধরণের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। আইনের আওতায় আনতে হবে। সে যত বড় নেতাই হোক।  

সভায় আরও বক্তব্য দেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

সভায়, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, রেলওয়ে, গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ পাহাড় ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad