ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রস্তুত মঞ্চ, এখন শুধু আত্মসমর্পণের পালা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
প্রস্তুত মঞ্চ, এখন শুধু আত্মসমর্পণের পালা প্রস্তুত আত্মসমর্পণ মঞ্চ-ছবি-বাংলানিউজ

কক্সবাজার: টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। এই মঞ্চেই শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণের বহুল আলোচিত অনুষ্ঠান। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠান সফল করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু আত্মসমর্পণের পালা।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া না গেলেও শতাধিক ইয়াবা কারবারী এই মঞ্চে আত্মসমর্পণ করবেন। এ সংখ্যা হতে পারে ১০২ জন, বিভিন্ন মাধ্যমে এমন তথ্য জানা গেছে।

অনেকে আত্মসমর্পণের সময় জমা দিতে পারেন ইয়াবা ও ইয়াবা পাচারের সময় ব্যবহার করা অবৈধ অস্ত্রও।

**আত্মসমর্পণ করছেন বদির ভাইসহ শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী

এদিকে এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী।


এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনেরও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

পুলিশের বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে শতাধিক চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীর আত্মসমর্পণের কথা রয়েছে। এমনকি আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এরকম শতাধিক ইয়াবা কারবারীকে শুক্রবার পুলিশের সেফহোম থেকে টেকনাফে নিয়ে আসা হয়েছে। যাদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জন শীর্ষ ইয়াবা কারবারীসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত রয়েছেন ৫৫ থেকে ৬০ জন। এদের মধ্যে বহুল আলোচিত সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই আবদুর শুক্কুরসহ অন্তত ১০ জন নিকটাত্মীয় রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ অনুষ্ঠানে শতাধিক ইয়াবা কারবারী আত্মসমর্পণ করবে। তবে এ সংখ্যা একটু কম বেশি হতে পারে। এদের মধ্যে চিহ্নিত এবং তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারীও আছে অর্ধশতাধিক।

ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সমাগতরা। পুলিশের বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, আত্মসমর্পণের জন্য প্রায় একমাস আগে থেকে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। এদের মধ্যে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির ভাই আবদুর শুক্কুর, আবদুল আমিন, মো. শফিক, মো. ফয়সাল, বেয়াই শাহেদ কামাল, চাচাতো ভাই মো. আলম, ফুফাতো ভাই কামরুল ইসলাম, ভাগিনা সাহেদুর রহমান নিপু, খালাতো ভাই মংমং সিংসহ অন্তত ১০জন নিকতাত্মীয় রয়েছেন।

এছাড়াও রয়েছেন-টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে দিদার মিয়া, ভাইপো মো. সিরাজ, হ্নীলার ইউপি সদস্য জামাল হোসেন, নুরুল হুদা মেম্বার, তার ভাই নুরুল কবির, টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ, নারী কাউন্সিলর কহিনুর বেগমের স্বামী শাহ আলম, টেকনাফ সদর ইউপি সদস্য এনামুল হক, ছৈয়দ হোসেন মেম্বার, ছৈয়দ আহমদ, শফিকুল ইসলাম, মো. ইউনুছ, একরাম হোসেন, রেজাউল করিম মেম্বার, মোজাম্মেল হক, জোবাইর হোসেন, মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু, মো. ইউনুছ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহর দুই ভাই জিয়াউর রহমান ও আবদুর রহমানসহ শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী। পুলিশের একটি সূত্র জানায় এসব ইয়াবা কারবারীদের বিরুদ্ধে দুই থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।