রোববার (৩ ফেব্রয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ে সেবা নিতে এসে এখনও মানুষ দুর্নীতি-হয়রানির শিকার হচ্ছে।
আরও খবর>>
** বড় অফিসার হয়ে গেছো, মানুষকে ক্ষমতা দেখাও?
** ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় মন্ত্রীর সারপ্রাইজ ভিজিট
তিনি বলেন, আমরা একটা মেকানিজম বের করছি। মানুষকে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয়, ভোগান্তিও যাতে লাঘব হয়। এ জন্য ইএফটি সেবা চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরে বসেই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। ভূমি সংক্রান্ত সবকিছু ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এসব সেবা চালু হলে হয়রানি-ভোগান্তি কমে আসবে। দুর্নীতিও শূন্যের কোটায় নামবে।
মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরা যারা সরকারে আছি, আমাদের প্রতি সরকার প্রধানের কঠোর নির্দেশনা আছে। আমরা নিজেরাও চাই জনগণ যাতে উন্নত সেবা পায়, হয়রানির শিকার না হয়।
‘যে কোনোভাবেই দুর্নীতি-হয়রানি বন্ধ করতে চাই। ভূমি মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি-হয়রানি থাকতে পারবে না। সোজা হিসাব। ’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে অনেকের জমির কাগজেও কিছু লেকিংস্ আছে। আবার মামলাও হচ্ছে। ৭ ধারার নোটিস জারির পরে এ ধরনের ঝামেলা যেনো না হয়, এজন্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে আমরা কিছু মডেল ঠিক করছি। সিস্টেম ডেভলপ করছি। লোকবলকে ট্রেইনআপ করছি। মানুষের মাইন্ড সেট চেঞ্জ করার চেষ্টা করছি।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ৩ বছর আগে প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এখানে এসেছি। কাজের পরিবেশ ভালো মনে হচ্ছে। এখনও সমস্যা যেটা রয়ে গেছে সেটা নিচের লেভেলে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও সিরিয়াস হবেন। মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, দ্রুত সেবা পায়-তার জন্যে কাজ করবেন।
‘কারও বিরুদ্ধে স্পেসিফিক কোনো অভিযোগ থাকলে আমাকে জানাবেন। প্লিজ ব্রিং টু আস। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’ বলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমআর/এসি/টিসি