রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সারপ্রাইজ ভিজিটে এলে মন্ত্রীকে এসব ভোগান্তির কথা জানান তিনি।
বলেন, এক মাস আগে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের ফাইল পরমেশ্বর চাকমার কাছে পাঠানো হলেও তিনি তা সই করছেন না।
অভিযোগ শুনেই মন্ত্রী সার্ভেয়ার পরমেশ্বর চাকমাকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মমিনুর রশিদের কক্ষে ডেকে পাঠান।
এ সময় মন্ত্রী সার্ভেয়ারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফাইল আটকে রাখার প্রবণতা কেনো? মানুষকে ঘোরানো, হয়রানি করা-এসব কেনো? আমরা তো মানুষের সেবা করতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘নিচের লেভেলের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি আমার কাছে, ডিসির কাছে কিংবা এডিসির কাছে কোনো কমপ্লেইন আসে, নিচের লেভেলে ফাইল আরও স্লো হয়ে যায়। তখন নানা আইন বের হয়। এসবের কারণ কি? তোমরা কি অনেক বড় অফিসার হয়ে গেছো? আমাদের চেয়ে বড় অফিসার হয়ে গেছো? মানুষকে ক্ষমতা দেখাও?’
‘হোয়াট নন সেন্স ইজ দিস। এটা তো আমি টলারেট করবো না। ’ যোগ করেন ভূমিমন্ত্রী।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, একটা মানুষের কত টাকা দরকার। ১২ পার্সেন্ট, ১৫ পার্সেন্ট টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ শুনছি আমি। সরকার বেতন দিচ্ছে না? হারামের পয়সা খেয়ে লাভটা কী?
পরমেশ্বর চাকমা জানান, একাধিক প্রকল্প চালু থাকায় সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেই আমার দিন চলে যায়। এ কারণে কিছু ফাইল বাসায় নিয়ে রাতেও কাজ করি। শিহাব উদ্দিনের ফাইলটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমআর/এসি/টিসি