ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ সিএমপির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ সিএমপির মসজিদে গিয়ে বক্তব্য দেন কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন

চট্টগ্রাম: জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মসজিদভিত্তিক পুলিশ সদস্যদের আলোচনা প্রশংসা পেয়েছে।

প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে এসব বিষয়ে সচেতন করতে বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদস্যরা।

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের নির্দেশে চালু হওয়া এ উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় মসজিদগুলোতে গিয়ে বক্তব্য দেন জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী কমিশনার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।

তারা আলোচনায় তুলে ধরছেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের ভয়াবহতা এবং এর কুফল। সন্তান যাতে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে, তা লক্ষ্য রাখতে অভিভাবকদের অনুরোধ জানাচ্ছেন তারা।

গত কয়েক মাস ধরে নগরে এ কার্যক্রম চালু রেখেছেন সিএমপির সদস্যরা।

মসজিদে প্রচারণা চালাচ্ছেন ওসি নেজাম উদ্দীন। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের দেশের সবাই কম-বেশি ধর্মভীরু। মসজিদে যে বয়ান হয়, সবাই তার ওপর মোটামুটি আমল করে। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি, কাজও হচ্ছে তাতে। যে সমস্ত সামাজিক বিষয় নিয়ে আমরা মুসল্লীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, সেসব বিষয়ে ভালোই সাড়া পেয়েছি। ’

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মসজিদভিত্তিক আলোচনা করছেন পুলিশ সদস্যরা। কয়েক মাস ধরে এ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ, অভিভাবকদের সচেতন করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ’

পুলিশের এই সামাজিক কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘জঙ্গিবাদ আমাদের সামাজিক অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধক। জুমার নামাজে অনেক মুসল্লীর সমাগম হয়। অন্য সময় একসঙ্গে এত সমাগম হয় না। জুমার নামাজে খুতবার মাধ্যমে যদি জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেওয়া যায়, তবে সেটা অবশ্যই ভালো দিক। ’

অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল করিম বলেন, ‘সমাজের কল্যাণে নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দূর করতে সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।