সোমবার (১৪ জানুয়ারি) নগরের লালদীঘি মাঠে গাউছুল আজম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া আলিয়া গাউছুল আজম দরবার শরিফের মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসূল আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খোদা পাবার লক্ষ্যমাত্রায় নির্ধারিত হয় জীবনের গতিপথ।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক ও বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি এএমএম বাহাউদ্দীন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম ছায়েফ উল্ল্যা, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মহাসচিব ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ আল্লামা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, রাউজান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, চবি আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জালাল আহমদ, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সরকার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ সাহেদ ইকবাল বাবু, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বোর্ড সদস্য মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন শাহ, এলবিয়ন গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা মো. নেজাম উদ্দীন, মদিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন এসএম মোরশেদ হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তব্য দেন আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম হানফি, মুফতি আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকি, আল্লামা মোহাম্মদ আশেকুর রহমান, আল্লামা বদিউল আলম আহমদী, আল্লামা এমদাদুল হক মুনিরী, আল্লামা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী ও আল্লামা মুহাম্মদ ফোরকান প্রমুখ।
কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই চট্টগ্রামের আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, বোয়ালখালী, আনোয়ারা পটিয়া ছাড়াও রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার-মহেশখালী থেকে গাড়িযোগে কাগতিয়া দরবারের অসংখ্য অনুসারী, ভক্ত ও সাধারণ মুসলমান লালদীঘি মাঠে আসেন। চট্টগ্রাম ছাড়াও ফেনী, কুমিল্লা, বি.বাড়িয়া, চাঁদপুর ও ঢাকা থেকে দরবারের হাজার হাজার অনুসারী উপস্থিত হন। সৌদিআরব, ওমান, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, আবুধাবি, শারজাহ্ থেকেও শত শত ভক্ত আসেন। মাগরিবের আগেই লালদীঘি মাঠ ও আশপাশের এলাকা, সড়ক কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
রাতে মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহের ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি, অসহায় নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজমের (রা.) ফয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
এআর/টিসি