ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের কল্যাণ ও শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন তারা।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সরেজমিন এমন চিত্র দেখা যায়।
যথারীতি বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী যিশুর জন্মের স্মৃতিকে স্মরণ করে বড়দিনে গির্জায় প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা হয়।
ফাদার পঙ্কজ পেরেরা বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত আটটায় বাংলায় ফাদার সুব্রত বনিপাস টলেন্টিনোর পৌরহিত্যে বড় দিনের বিশেষ উপাসনা হয় গির্জায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাদার সজল কস্তা ও জেরম ডি রোজারিও।
রাত ১০টায় এবং মঙ্গলবার সকালে ইংরেজিতে বিশেষ উপাসনায় পৌরহিত্য করেন আর্চ বিশপ মজেজ কস্তা।
কারিতাস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক জেমস গোমেজ বাংলানিউজকে জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী পবিত্র জপমালা রানি মা মারিয়া গির্জায় বড়দিনের উপাসনা ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিও ছিল বেশ।
এবারের বড়দিনে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিকেলে কথা হয় মৌসুমি গোমেজের সঙ্গে। তিনি বলেন, বড়দিন হচ্ছে আনন্দের। ঘরে ঘরে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে। ক্রিসমাস কেক, কুকিজসহ নানান পিঠাপুলি দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়েছে। এখন বন্ধুদের নিয়ে গির্জায় এসেছি। সেলফি তুলছি, আনন্দ করছি।
চট্টগ্রামে বড়দিনের উপাসনা হয়েছে জামালখান, কালুরঘাট, নূর আহমদ সড়ক, কাট্টলীর চান্দিরিয়া, আনোয়ারার দিয়াংসহ তিন পার্বত্যজেলার গির্জাগুলোতে।
বড়দিনকে ঘিরে নগরের প্রথম পাঁচতারা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। অতিথিদের জন্য ছিল বর্ণিল আয়োজন। শিশুদের উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন ‘শান্তা ক্লজ’।
এ ছাড়া অভিজাত হোটেল পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, ওয়েল পার্ক, হোটেল আগ্রাবাদেও ছিল বড়দিনের আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
এআর/টিসি