ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভয়ঙ্কর সব ভূতের মেলা হ্যালোইন নাইটে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
ভয়ঙ্কর সব ভূতের মেলা হ্যালোইন নাইটে! দুই ডজনের বেশি ভূতের কাণ্ডকারখানায় মেতে ওঠেন দেশি-বিদেশি অতিথিরা। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: সাদা ব্যান্ডেজে মোড়ানো পুরো শরীর। ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। মুখে দগদগে সেলাই। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মুখটি। রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর হ্যালোইন নাইট পার্টির ভয়ঙ্কর ভূতের এটি একটি।

আরেকটি ভূতের পরনে কালো পোশাক। মুখে সাদা-কালো ভয়ানক মুখোশ।

হাতে লম্বা তলোয়ার। সেই তলোয়ার নিয়ে ছোটাছুটি।
শিশুতো বটে সাহসী তরুণ-তরুণীদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে এলাহি কাণ্ড।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বড় বড় নখ, লম্বা চুলের বিশ্রী সব ভূতের মেলা বসেছিল। গা ছমছম করা গুহার ভেতর বিজলির চমকানিতে একেকটি ভূতের সঙ্গে পরিচয় হয় মানুষের। কৃত্রিম ভূতের পাশাপাশি ছিল জীবন্ত ভূতের হাতছানি। গেছো ভূত, মেছো ভূত, শ্মশান ভূতসহ ওয়েস্টার্ন সব দৈত্য-দানবের সাজে দুই ডজনের বেশি ভূতের কাণ্ডকারখানায় মেতে ওঠেন দেশি-বিদেশি অতিথিরা। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট টিমও অবস্থান করছে পাঁচ তারকা হোটেলটিতে।

ভূতের সঙ্গে ছবি তোলার ধুমপড়ে হ্যালোইন পার্টিতে।  ছবি: সোহেল সরওয়ারশুধু কি ভূতের হাঁকডাক আর মাতামাতি, সাজটাও ছিল শিউরে ওঠার মতো ভৌতিক। দৈত্যাকার মাকড়সা, নরকঙ্কাল, মুখোশ, ভয়্ঙ্কর সব জীবজন্তুর সাজসজ্জায় ভুতুড়ে আবহকে জীবন্ত করেছিল বর্ণিল আলোর ফোয়ারা আর কৃত্রিম ধোঁয়া।

ফাঁকে ফাঁকে শিশুদের মজার মজার সব জাদু দেখিয়ে মুগ্ধ করেন, ভূতের ভয় তাড়ান জাদুকর রাজিব বসাক।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দেশে তো বটে বিদেশেও ভূত, অপশক্তি, দৈত্য-দানব নিয়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে অজানা ভীতি কাজ করে। হ্যালোইন নাইট হচ্ছে ভূতবান্ধব পরিবেশে ভূতের ভয় তাড়ানোর ব্যবস্থা। ভূতের অস্তিত্ব নেই সেটি স্টাবিলিশড করতেই এ আয়োজন। ম্যাজিকও একধরনের ভুতুড়ে ব্যাপার। রেডিসনের আমন্ত্রণে শিশুদের জাদু দেখাতে এসেছি। খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। শুধু জাদু দেখিয়ে বিস্মিত করা নয়, একই সঙ্গে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি জাদুর বাক্স। বলতে পারেন, যারা জাদু দেখছে তারা নবীন জাদুকর হয়ে যাচ্ছে। বাসায়-স্কুলে সহজ জাদু দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে পারবে আশাকরি।

ছাদ, দেয়াল, মেঝে সবখানেই ছিল গা ছমছম করা ভুতুড়ে পরিবেশ।  ছবি: সোহেল সরওয়ারঅনেক ভূতের মধ্যে একটি ‘ভূত’ ছিল হিংস্র। মাসুম নামের ওই ‘ভূত’ বাংলানিউজকে বলেন, নকল ভূত দেখে শিশুরা কিছুটা ভয় পেলেও বড়রা বেশ মজা পাচ্ছে। সেলফি তোলার জন্য টেনেহেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। বেশ উপভোগ করছি।

প্রথম শ্রেণিতে পড়ে রাজভী বসাক ও তাওয়াজ্জু তাসনিম মাতুল। তারা বাংলানিউজকে জানালো, গল্প বই আর টেলিভিশনে যেসব ভূতের সঙ্গে পরিচয় তার তুলনায় এখানকার ভূতগুলো আরও ভয়ঙ্কর। কয়েকটি ভূত তো ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছিল। ভয় পেয়েছিলাম। তবে জাদুটা ছিল বেশ।

ভূতের সঙ্গে ছবি তোলে শিশুরাও।  ছবি: সোহেল সরওয়াররেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মহাব্যবস্থাপক রবিন এডওয়ার্ডস ফিতা কেটে সন্ধ্যায় হ্যালোইন নাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। রেডিসনের নিজস্ব ভূত ছাড়াও অনেক অতিথিরাও এসেছিলেন ভূতের সাজে। এর মধ্যে সেরা ভূতগুলোকে পুরস্কৃত করবে রেডিসন কর্তৃপক্ষ। পুরস্কার পাবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুরাও। অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল ফেস পেইন্টিং, মুভি শো আর হ্যালোইন থিমে দেড়শ’ পদের খাবার ও ডেজার্টের স্পেশাল ব্যুফে। যেখানে পদে পদে ভূতের ছোঁয়ায় পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এআর/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।