মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবিরকে প্রধান করে জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের চিকিৎসক আনিকা চাকমা ও মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজেদ চৌধুরীকে সদস্য করা হয়।
কমিটির সদস্যদের তিন কার্যদিবসে রোববারের (২১ অক্টোবর) মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভুক্তভোগী কোরবান আলীর সঙ্গে কথা বলতে না পারায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা আরও দুইদিন সময় চান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও ভুক্তভোগীসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতে না পারায় কমিটির সদস্যরা আরও দুইদিন সময় চান। সে হিসেবে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) প্রতিবেদন হাতে পাবো।
এর আগে সাতকানিয়ার উপজেলার খাগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কোরবান আলী চাকরির ভিসা নিয়ে ওমান যেতে গত ১১ জুন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান নগরের মেডিকেয়ার মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে। পরীক্ষার পর কোরবান আলীর রক্তে এইচআইভি পজিটিভের (এইডস) নমুনা মিলেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এ ঘটনায় রীতিমতো চমকে ওঠেন কোরবান। এরপর ১০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরের দিন শেভরনে গিয়ে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি। পরীক্ষায় জানা যায়, এইডস আক্রান্ত নন কোরবান। প্রতিষ্ঠান দু’টির রিপোর্টই এইচআইভি নেগেটিভ।
পরে বাংলানিউজে চেকআপে ভুল রিপোর্ট ‘এইডস’, স্বপ্নভঙ্গ যুবকের শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেটির প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
জেইউ/টিসি