এক বুক হতাশা নিয়ে সেই রিপোর্ট নিয়ে কোরবান চলে যান গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ায় খাগরিয়া। পরের মাসে তার ওমান যাওয়ার কথা থাকলেও রিপোর্টে ‘আনফিট’ আসার কারণে তিনি আর বিদেশ যেতে পারেননি।
গ্রামের ওই ডাক্তার কোরবানকে কিছু না বলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও সেভরন ডায়াগানস্টিক সেন্টারে আবারও পরীক্ষা করাতে বলেন। কিন্তু সেখানে রিপোর্ট আসে পুরোপুরি সুস্থ বা ফিট বলে এবং তার শরীরে কোনো ধরনের ভাইরাসই নেই, এইচআইভি তো দূরের।
কোরবান বাংলানিউজকে বলেন, গত জুনের ১১ তারিখে মেডিকেয়ার মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে চেকআপ করি। তারা রিপোর্টে ‘আনফিট’ লিখে। পড়ালেখা না জানার কারণে রিপোর্টটি পড়তে পারিনি। পরের মাসে ওমান যাওয়ার কথা থাকলেও ‘আনফিট’ থাকায় আর যেতে পারিনি। পরে গ্রামের পরিচিত এক ডাক্তারকে দেখালে তিনি চমেক হাসপাতাল ও সেভরনে আবারও পরীক্ষা করাতে বলেন। সে অনুযায়ী ১১ অক্টোবর ওই দু’টি মেডিকেলে চেকআপ করি। সেখানে আমাকে ফিট বলে রিপোর্ট দেয়। এমনকি আমার শরীরে এইচআইভিও নেই।
ভুল রিপোর্টের বিষয়টি স্বীকার করে মেডিকেয়ার মেডিকেল চেকআপ সেন্টারের ব্যবস্থাপক রাশেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, কোরবান আলী নামক একজনের শরীরে এইচআইভি বা এইডস পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহে ছিলাম। কিন্তু রিপোর্টে ‘আনফিট’ লেখা ছিল না।
তবে রিপোর্টে ‘আনফিট’ লেখা ছিল না বলে রাশেদ আলী দাবি করলেও কোরবানকে ‘আনফিট’ লিখে দেওয়া রিপোর্ট বাংলানিউজের কাছে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
জেইউ/টিসি/এইচএ/