বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) নগরের ইপিজেড, পতেঙ্গা ও চকবাজার থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এ সময় বাসি খাবার, ছাপানো নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার করে উৎপাদিত কেক, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ওষুধ, নিষিদ্ধ ওষুধ ও মেয়াদহীন কাটা ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
আরও খবর>>
** চার টাকা বেশি নেওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা!
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ইপিজেড থানা এলাকায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় দি ঢাকা বেকারিকে ছাপানো নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার করে কেক তৈরি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ২৫ কিলোগ্রাম কেক ধ্বংস করা হয়, মেসার্স করিম অ্যান্ড সন্সকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য ৫ হাজার টাকা এবং দি হক ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
সহকারী পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস চকবাজার ও ইপিজেড থানায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় বাসি খাবার সংরক্ষণ, ছাপানো নিউজপ্রিন্টে খাবার সংরক্ষণ এবং নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য মেহেদিবাগের ছুফিয়া হোটেলকে ৮ হাজার টাকা, কদমতলির আলম হোটেলকে ৮ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ, অননুমোদিত বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ইপিজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিংয়ের নিউ স্টার ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে পতেঙ্গা থানা এলাকায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সময় ক্যাফে সাহারা অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। কাটগড় এলাকার শফি অ্যান্ড সন্স ফার্মেসিকে সরকারি ওষুধ, বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ, মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদহীন কাটা ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে আনুমানিক ৫ হাজার টাকার অবৈধ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে পচা-বাসি খাবারে হোটেল-রেস্টুরেন্ট-বেকারি সয়লাব হয়ে গেছে। মানুষ এসব খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে ওষুধ খেয়ে যে ভালো হবে সেই আশায়ও গুঁড়েবালি। কারণ ভেজাল, নকল, মেয়াদহীন ওষুধে ফার্মেসিগুলোও সয়লাব। যা অত্যন্ত উদ্বেগের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এআর/টিসি