মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান চকবাজারের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়াতে তদারকিমূলক এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে আগ্রাবাদের জামান’স হোটেলকে ২৫ টাকার পানি ৩০ টাকা নেওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের (এমআরপি) বেশি কোনো অবস্থাতেই ভোক্তার কাছ থেকে আদায় করা যাবে না।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ক্যাফেটেরিয়াকে হাইড্রোজ, পোড়াতেল ও অননুমোদিত ফ্লেভার ব্যবহার করায় আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৩০০ গ্রাম হাইড্রোজ, ২ লিটার পোড়াতেল ও ৩ কেজি হাইড্রোজ দেওয়া জিলাপি ধ্বংস করে সতর্ক করা হয়েছে। গরিবে নেওয়াজ হোটেলকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ইপিজেড থানা এলাকায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি জাহাঙ্গীর হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁকে বাসি খাবার বিক্রির জন্য সংরক্ষণ ও নিউজপ্রিন্টে খাদ্য সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ বাসি খাবার ধ্বংস করা হয়। লেবার কলোনি রোডে আমিন মেডিকেল হলকে নিষিদ্ধ, সরকারি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ৩ হাজার টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস পাঁচলাইশ থানায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় ওআর নিজাম রোডের শেভরন ফার্মেসিকে মেয়াদ, মূল্যবিহীন কাটা ওষুধ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অননুমোদিত বিদেশি ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ২০ হাজার টাকা, নিউজপ্রিন্টে খাবার সংরক্ষণের জন্য শেভরন ক্যানটিনকে ৫ হাজার এবং অননুমোদিত ফ্লেভার ব্যবহার করে খাবার তৈরির জন্য পাঁচলাইশ থানা মোড়ের সালেহ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এআর/টিসি