শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া চারটার দিকে রাউজানের গহিরা এলাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নামফলক অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন>>
** ফাঁসিতে ঝুললেন সাকা
এ সময় গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, অনেক আগে এ নামফলক ভেঙে দেওয়া উচিত ছিল।
এ সময় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, উত্তর জেলা সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম প্রমুখ। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন পুরো এলাকা।
এ প্রসঙ্গে গোলাম রাব্বানী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রমাণিত, ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবরের ফলকে নামের পূর্বে লেখা ছিল শহীদ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আজ সেই লজ্জায় প্রলেপ দিয়েছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করে। এসব অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এরপর তাকে রাউজানের গ্রামের বাড়িতে কবর দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এআর/টিসি