বু্ধবার (২৭ জুন) দুপুরে বাসায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। বুধবার সকালে সৈয়দশাহ রোডের ল্যান্ডম্যার্ক সোসাইটি এলাকার এমএস লায়লা ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় নিজ বাসায় খুন হন স্কুল শিক্ষার্থী ইলহাম বিনতে নাছির (১২)।
ইলহাম মেরন সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ইলহাম খুন হন। বাসার আলমারি পাওয়া গেছে ভাঙা এবং কাপড়গুলো এলোমেলো। ইলহামের মা নাছরিন আক্তার খুশবু বাংলানিউজকে বলেন, তিনি গিয়েছিলেন মেঝো মেয়ে জারিন বিনতে নাছির (০৫) কে স্কুলে দিতে বাসা থেকে বের হন সকাল ৭টা ৫০মিনিটে। জারিনকে স্কুলে দিয়ে বাসায় আসেন ৯টায়।
বাসায় ঢুকে দেখতে পান মুখের উপর বালিশ রাখা অবস্থায় বিছানায় শোয়া ইলহাম। ইলহামকে ডাকতে গিয়ে দেখতে পান তার গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। তার চিৎকারে ভবনের অন্য লোকেরা এসে ইলহামকে হাসপাতালে নিয়ে যান। মেয়ের লাশ দেখে হতবিহ্বল নাছরিন আক্তার রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে নিজে 'আত্মহত্যা' করার চেষ্টা করেন বলে দাবি তার। নাছরিন আক্তারের হাতে কাটা এবং ব্যান্ডেজ দেখা যায়। নাছরিন আক্তার বলেন, বাসায় রক্ষিত ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় খুনিরা। তাদের পরিবারের সাথে কারো শত্রুতা ছিলনা বলে জানান নাছরিন আক্তার। লায়লা ভবনের বাসাটিতে ঘটনার সময় ইলহাম ও তার ছোট বোন ইননাছ বিনতে নাছির (০২) ছাড়া কেউ ছিলনা। নাছরিন আক্তার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ইলহামকে বাসার দরজা বন্ধ করতে বলেছিলেন তবে ইলহাম দরজা বন্ধ করেছেন কি না বলতে পারেন না নাছরিন আক্তার।
ইলহামের যে রুমে খুন হন ঠিক তার পাশের রুমে ঘুমিয়ে ছিল ২ বছর বয়সী ইননাছ। বাসার ফ্লোর এবং উঠার সিঁড়িজুড়ে রক্তের ছাপ দেখা গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসাইন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকতা জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ইলহাম খুনের বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।
তিনি বলেন, 'সবকিছু' বিবেচনায় রেখে ঘটনাটি তদন্ত করছে পু্লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, সিআইডি, পুলিশের কয়েকটি টিম।
** নিজ বাসায় কিশোরীকে গলাকেটে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
এসকে/টিসি