রোববার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কদমতলী শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
হারুন প্রয়াত বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর ভাই আলমগীর চৌধুরীর ছেলে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব।
হারুন নগরীর সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাৎ হোসেন।
নগর পুলিশের কোতয়ালী জোনের সহকারি কমিশনার মো.জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তিন কাউন্সিলর মিলে শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আনন্দ সমাবেশ ও শোভযাত্রার আয়োজন করেছিলেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, হারুনের বুকে তিনটি গুলি লেগেছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছিল। তবে বাঁচানো যায়নি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো.জোবায়ের এবং আব্দুল কাদের মিলে শোভাযাত্রা ও সমাবেশের এই কর্মসূচি দিয়েছিলেন।
হাসান মুরাদ বিপ্লব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শোভযাত্রা ও সমাবেশ শেষ করেছি। শোভাযাত্রার শেষদিকে পেছন দিকে গুলির শব্দ শুনি। তারপর আমি গিয়ে হারুনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখি। তাকে আমি টেক্সিতে তুলে হাসপাতালে পাঠাই। পরে জানতে পারি হারুন দস্তগীর সাহেবের ভাই আলমগীর সাহেবের ছেলে।
‘কারা, কি কারণে তাকে গুলি করল সেটা আমরা জানি না। সম্ভবত সুযোগসন্ধানী কেউ আমাদের শোভাযাত্রার কারণে জনসমাগমের সুযোগ নিয়ে এই কাজ করেছে। ’
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, হারুনের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা আছে। তিনি সমাবেশ-শোভাযাত্রায় ছিলেন না। তার প্রতিষ্ঠানের ভেতরে তাকে লক্ষ্য করে কেউ গুলি করেছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।
হারুন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিদর্শক রুহুল আমিন।
নিজ প্রতিষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
আরডিজি/টিসি