ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিসি হিলে নববর্ষ-রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, অন্যকিছু নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
ডিসি হিলে নববর্ষ-রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, অন্যকিছু নয় কথা বলছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নগরীর ডিসি হিল খ্যাত নজরুল স্কয়ারের সুরক্ষায় বছরে তিনটি অনুষ্ঠান রেখে বাকি সব অনুষ্ঠানের রাশ টানার উদ্যোগ নিচ্ছেন জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এখানে শুধু তিনটি অনুষ্ঠান হতে পারে। একটি হলো পহেলা বৈশাখ, আর দুটি রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী। এছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠান হবে না।’

সকালে প্রাতভ্রমণ ও ইয়োগা অনুশীলন করা মানুষদের সংগঠন ‘ইয়োগা প্রভাতী’ ডিসি হিল প্রাঙ্গণ পরিস্কারের এই উদ্যোগ নেয়। ‘পরিচ্ছন্নতা নিজেরাই করি, কারও জন্য অপেক্ষা নয়’-শীর্ষক এই উদ্যোগে সামিল হন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও।

এক ঘণ্টারও বেশি সময়  ধরে ঝাড়ু হাত মন্ত্রী পরিস্কার করেন ডিসি হিলের এখানে-ওখানে।

এর আগে কর্মসূচির উদ্বোধন করার সময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন উপরের কথাগুলো বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যখনি এখানে (ডিসি হিল) আসি দেখি নোংরা। মেলার পরে মেলা। এই মেলা সেই মেলা। যখন তখন অনুষ্ঠান। এটা হতে দেওয়া যায় না। এটা আমাদের আত্মার জায়গা। এখানে পহেলা বৈশাখ, রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী হবে শুধু। আমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবো, কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবো। ’

তিনি ঢাকার রমনা পার্কের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমি প্রতিদিন প্রাতভ্রমনে রমনা পার্কে যাই। দেখতাম সেখানে এখানে ওখানে পড়ে আছে ময়লা, বাদামের খোসা, বোতল কতোকিছু। দিনভর উঠতি বয়সী ছেলেদের আড্ডা নামতো। আর বছরে সেখানে ৩৫টি মেলা হতো। আমি সব বন্ধ করে দিয়েছি। এখন কেবল সেখানে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয়। ’

মন্ত্রী ডিসি হিলের সুরক্ষার বিষয়ে তার আগের নেওয়া উদ্যোগের কথা তুলে বলেন, ‘২০০১ সালে আমি এখানে হাঁটার জন্য পার্ক্ করার উদ্যোগ নিই। সেসময় বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আমাকে ফোন করে জানতে চাইলেন-ডিসি হিলে কি করতে চাচ্ছি সে বিষয়ে। তাকে পার্ক করতে চাই বললে তিনি বলেন, অন্য কোথাও করা যাবে না। তখন আমি তাকে বলি-‘‘অন্য জায়গা আছে, কিন্তু ডিসি হিল তো নেই। এটা চট্টগ্রামের মানুষের আত্মার জায়গা। আর আমরা তো এখানে বাড়িঘর করছি না। হাঁটার জায়গা করছি। ’’ তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটি বুঝতে পেরেছিলেন। আমার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ’

ডিসি হিল ঘিরে বেশ কয়েকটি ফুলের দোকান আছে। সেই দোকানগুলো ময়লা আবর্জনা সৃষ্টি করলে তাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী এই দোকানগুলোর মালিকদের ডাকেন। তাদের বলে দেন-‘ডিসি হিল অপরিস্কার রাখা যাবে না। ’

ডিসি হিলে ময়লা আবর্জনা না হয় সে বিষয়ে সবাইকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে ১০০টা ডাস্টবিন করে দেব। আমার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর অর্থায়নে এখানে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেব। রাত নয়টা পর্যন্ত এখানে সবাই হাটাহাটি করতে পারেন। এরপর এখানে থাকা যাবে না। এই প্রাঙ্গণের পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।