মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করার সময় এ তথ্য জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা পৃথকভাবে ঈদের আগের পশুর হাট, বাস-রেলওয়ে স্টেশন ও লঞ্চঘাট এবং ঈদের জামাত, ঈদের পরে চামড়া বিক্রি ও বিনোদন পার্কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।
এই অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৪০০ জন পশুর হাটে, ২০০ জন বাস-রেলওয়ে স্টেশনে, ঈদের জামাতে ৬০০ জন এবং চামড়া বাজার কেন্দ্রীক নিরাপত্তায় ৪০০ জন থাকবেন বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘প্রতিটি পশুর হাটে আমাদের একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে।
তিনি বলেন, ‘অনেকে নিজেদের হাটে পশু নামানোর জন্য বিভিন্ন পশুবাহী গাড়িকে পথে আটকিয়ে ফেলেন, টানা হেঁচড়া করেন, এরকম কোনো কিছু হলেই আমরা ব্যবস্থা নেব। জাল টাকা চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বুথ থাকবে। পাশাপাশি সেখান থেকে টাকা উঠানো, জমা দেওয়া যাবে। এছাড়া প্রতিটি পশুর হাটে কোন পশুর জন্য কতো হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে তা হাটের একাধিক স্থানে প্রকাশ্যে টাঙিয়ে রাখতে হবে। এসব নিরাপত্তা জোরদারের জন্য আমাদের অতিরিক্ত ৪০০ পুলিশ সদস্য পশুর হাটে নিয়োজিত থাকবেন। ’
‘ঈদের আগে নির্বিঘ্নভাবে জনসাধারণের যাতায়াত নিশ্চিত করতে বাস ও রেলওয়ে স্টেশন, লঞ্চ ঘাটে অতিরিক্ত ২০০ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ’ বলেন পুলিশ কমিশনার
মো. ইকবাল বাহার আরও বলেন, ‘নগরীতে ৩৬৮ স্থানে ঈদের জামাত হবে। এর মধ্যে ৩৭টিতে কেন্দ্রীয়ভাবে সাদা ও পোশাকি পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা দেবেন। বাকিগুলোতে মোবাইল ও পেট্রোল টহলের দায়িত্বে থাকা সদস্যরা নিরাপত্তা দেবেন। ঈদের জামাত কেন্দ্রীক অতিরিক্ত ৬০০ পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ’
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ঈদের দিন থেকেই শুরু হবে চামড়া বিক্রি। নগরীর ৫৪ স্থানে চামড়া বিক্রি হবে। চামড়া যাতে কোনোভাবেই পাচার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। চামড়া বিক্রি কেন্দ্রীক নিরাপত্তায় ৪০০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ’
‘এছাড়া ঈদ ও ঈদের পরবর্তী কয়েকদিন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষজনের ভিড় বাড়বে। এক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সে লক্ষে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত ৩০০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ’-যোগ করেন পুলিশ কমিশনার।
পশুবাহী গাড়ি তল্লাশি করা হবে না জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘অবৈধ কিছু বহন করা হচ্ছে এমন সুষ্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলেই শুধু ট্রাফিক পুলিশ পশুবাহী গাড়ি তল্লাশি করবে। না হয় কোনোভাবেই পশুবাহী গাড়ি তল্লাশি করা হবে না। ’
সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মাসুদ উল হাসানসহ বিভিন্ন জোনের উপ-কমিশনার ও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি