তারা বলছেন, দু’এক দিনের মধ্যেই গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া’য় ভরে উঠবে প্রতিটি হাট। এরই মধ্যে নগরীর বাজারগুলোতে বিদ্যুৎ, পানি ও নিরাপত্তাসহ সব ধরণের সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদাররা।
জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে এবার মোট আটটি পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে দু’টি স্থায়ী ও ছয়টি অস্থায়ী।
অস্থায়ী বাজারগুলো হলো- কর্ণফুলী হাট, সল্টগোলা রেল ক্রসিং হাট, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, পোস্তার পাড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, স্টিল মিল হাট ও কমল মহাজন হাট। সম্প্রতি অস্থায়ী পশুর হাটগুলো বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইজারা দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আনা হয়েছে। তবে বাজারে ক্রেতা নেই। তবে কেউ কেউ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য গরু কিনেছেন।
সাগরিকা গরু বাজারের ব্যবসায়ী আজগর আলী বাংলানিউজকে জানান, জামালপুর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এসেছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে বাজার জমে উঠবে বলে আশা করছেন।
কোরবানির গরু বিক্রি এখনো শুরু হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সাগরিকা গরুর বাজারে একসঙ্গে অন্তত চার লাখ গরু উঠবে। তবে সোমবার পর্যন্ত কোরবানির কোন গুরু বিক্রি হয়নি।
রাজশাহী ও টেকনাফ থেকে কয়েক গাড়ি গরু এনেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ক্রেতা না থাকায় এখনো বাজারে তুলিনি। বাড়ির পাশেই রেখেছি। চাঁদ দেখা গেলে তারপর বাজারে তুলবো।
এবারে গরুর দর-দাম কেমন জানতে চাইলে আলী আজগর বলেন, বাজারে দেশীয় জাতের প্রচুর গরু রয়েছে। দাম খুব বেশি হওয়ার কথা নয়।
পশু কিনতে কুড়িগ্রাম অবস্থান করছেন জানিয়ে বিবিরহাট বাজারের গরু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে আমি কুড়িগ্রাম অবস্থান করছি। এখান থেকে গরু পাঠাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রোববার সকালে ১০টি গরু নিয়ে সাগরিকায় এসেছেন। এখনো পর্যন্ত একটিও বিক্রি হয়নি।
সাগরিকা বাজারের মতো অন্য হাটগুলোরও একই অবস্থা। বিবিরহাট, কর্ণফুলী, স্টীল মিলসহ করপোরেশনে স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটগুলোতে এখনো পর্যন্ত গরু ও অন্যান্য পশু বেচাকেনা নেই।
সাগরিকা গরু বাজারের ইজারাদার সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, সুষ্ঠুভাবে গরু কেনা-বেচার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রশাসনও আমাদের সহযোগিতা করছে।
ঐহিত্যবাহী সাগরিকা বাজারে কেবল পশু কিনতে নয় দেখতেও অনেকে আসেন জানিয়ে তিনি বলেন, এতবড় হাট চট্টগ্রামে আর কোথাও নেই। তাই অন্য হাট থেকে পশু কিনলেও এটি দেখার জন্য অনেকেই আসে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এমইউ/টিসি