সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১২ সালে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) প্রতিষ্ঠিত হয়।
কয়েকদিন আগে ওই ইনস্টিটিউটের কয়েকটি কক্ষ বিএনসিসিকে ব্যবহার করতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৭ দফা দাবি তোলে ১২ ও ১৬ জুলাই (বুধবার ও রোববার) ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ভাষ্য, ঘূর্ণিঝড় মোরার কারণে বিএনসিসির আগের অফিসটির টিন উড়ে গেছে।
তাদের অস্ত্র ও বেশ কিছু পোশাকের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সাময়িকভাবে ওই কক্ষগুলো বিএনসিসিকে ব্যবহার করতে অনুমতি দেওয়া হয়।
অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর চবি কলেজের বেশ কয়েকটি কক্ষ ব্যবহার করার জন্য অনুমতি দিই। এছাড়া আইন অনুষদ যখন নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয় তখন পুরাতন আইন অনুষদের দ্বিতল ভবনটি এ ইনস্টিটিউটকে দিয়ে দেওয়া হয়। ’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিএনসিসির অফিস ভেঙে যায়। ফলে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে অনুমতি নিয়ে সাময়িকভাবে সেখানে তাদের থাকতে বলি। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করলে আমি ওই দিনেই উপ-উপাচার্যের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করে দিই। আমি সোমবারও (১৭ জুলাই) সেখানে গিয়ে তাদের কী কী সমস্যা তা জেনে এসেছি। ’
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট খোলার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি অভিযোগ তোলে তিনি বলেন, ‘যদি ইনস্টিটিউটটি খোলার আগে শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতাসহ অন্যন্য বিষয় মাথায় রাখতো তাহলে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো না। সেই সময়ের প্রশাসন তা নিশ্চিত করেনি। সেটি একটি অপরাধ। ’
তিনি বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। বিএনসিসিকে সেখান থেকে চলে আসতে বলেছি। ফলে শিক্ষার্থীদের আর সমস্যা হওয়ার কথা না। ’
বাংলাদেশ সময়:১৯৫০ ঘণ্টা, ১৭ জুলাই, ২০১৭
জেইউ/টিসি