শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
তখন তো বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের কোন ট্রেনিং ছিল না। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বাঙালিরা ভারতে গিয়ে ১৮ দিন, এক মাস ট্রেনিং নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশিকে ট্রেনিং দিয়েছিল। তখন ৯৫ হাজার ভারতীয় সৈন্য ছিল। তারা বাঙালিদের সহযোগিতা করেছিল। এদেশের প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে তারা আশ্রয় দিয়েছিল। ’
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও উত্তরাধিকারদের স্কলারশিপ স্কিমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী আমাদের যে সহযোগিতা করেছেন তা কখনো ভোলার নয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কখনো ভারতবিরোধী নয়। আর ইদানিং যারা ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছে, মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে তা ভিত্তিহীন। তাছাড়া ভোট আসলেই এসব পুরনো রেকর্ড বারবার ছাড়া হয়। কিন্তু মানুষ এখন তা আর শোনে না। ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক আছে এবং থাকবে। ’
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি