রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে তিনি পতেঙ্গা এলাকার সেতু তিনটি সরেজমিন দেখে রুবি সিমেন্ট কারখানা সংলগ্ন সেতুটিতে মাটি তোলার জন্য চসিকের একটি লংবুম এস্কেভেটার দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এ ছাড়া মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ২০ জুনের মধ্যে ধাপে ধাপে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন প্রধান প্রকৌশলী।
বাংলানিউজকে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমরা দেখলাম ঠিকাদারের ছোট্ট এস্কেভেটার দিয়ে দ্রুতগতিতে মাটি খোঁড়ার কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিয়মিত পরিদর্শন, তদারকি এবং কারিগরি নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ায় সেতু তিনটির নির্মাণকাজে গতি এসেছে জানিয়ে লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এখন আমরা সরাসরি কাজের তত্ত্বাবধান করতে পারছি। নদীর পাড়, রেললাইন, সংকীর্ণ জায়গায় হওয়ায় যেকোনো সিদ্ধান্ত এখন দ্রুত নেওয়া যাচ্ছে। আগে ঢাকার প্রকল্প পরিচালক হয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো কাজ হতো না। কারণ ঠিকাদার শঙ্কিত থাকত বিল পরিশোধ নিয়ে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেতু তিনটির নির্মাণকাজ ২০ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি আমরা। এ লক্ষ্যে তিনটি সেতুতে চসিকের তিনজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, তিনজন নির্বাহী প্রকৌশলী, তিনজন সহকারী প্রকৌশলী ও তিনজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে দিয়ে তিনটি ওয়ার্কিং গ্রুপ করে দিয়েছি। বড় কোনো ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা জলাবদ্ধতা না হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীরা মো. রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও আবু সালেহ।
** সেই তিন সেতুর তদারকি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এলো
** প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এগোচ্ছে তিন সেতুর নির্মাণকাজ
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
এআর/টিসি