ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই তিন সেতুর তদারকি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এলো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
সেই তিন সেতুর তদারকি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর ঠিকাদাররা সাইটে জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়িয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন।

চট্টগ্রাম: শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের আলোচিত তিনটি সেতুর নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্ব ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ন্যস্ত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী চিঠি দিয়ে বিষয়টি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে জানিয়েছেন।  

‘সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে অসন্তোষ প্রকাশ’র পর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের মৌখিক সম্মতির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিভাগে কর্মরত এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সেতু তিনটির বাস্তবায়নের কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেতু তিনটির প্রকল্প পরিচালক ছিলেন এলজিইডির ঢাকা অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাজাহান মোল্লা।

উপ প্রকল্প পরিচালকও ছিলেন এলজিইডির।

বুধবার (১৫ মার্চ) সই করা ওই চিঠি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মেয়রের হস্তগত হয় বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ)।

চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিয়মিত পরিদর্শন, তদারকি এবং কারিগরি নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন। সেতু তিনটির বাকি নির্মাণকাজ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের ল্যাবরেটরি নির্মাণসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সহায়তা দেবে। সার্বিক চুক্তি ব্যবস্থাপনা (কনট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট) ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা আপনার দপ্তর (চসিক) কর্তৃক যথারীতি পরিচালিত হবে।      

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর পাঠানো চিঠি             

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে জানান, সেতু তিনটির প্রকল্প পরিচালক ও উপ প্রকল্প পরিচালক শুরু থেকেই এলজিইডির ছিলেন। এখন নতুন করে এলজিইডির আরও দুজন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্মাণকাজ তদারকির। আগে ঢাকা থেকে এসে কাজ তদারকিতে এলজিইডির সমস্যা হতো এখন হয়তো কিছুটা সহজতর হবে।

চসিকের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও সহযোগিতা থাকছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সেতু তিনটির কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে সর্বোচ্চ সহায়তা দেব। যদিও এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব খুব কম। বেশিরভাগ দায়িত্ব এলজিইডির।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে সেতু তিনটির গার্ডার বসানোর জন্য বেয়ারিং প্যাড (রাবারের) পরীক্ষার জন্য বুয়েটে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।   

চসিক সূত্রে জানা গেছে, জাইকার অর্থায়নে সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্টের আওতায় সেতু তিনটি নির্মিত হচ্ছে। পতেঙ্গার রুবি সিমেন্ট কারখানা সংলগ্ন ১৪ মিটার দীর্ঘ আরসিসি ব্রিজ, ৯ নম্বর গুপ্ত খালের ওপর ২০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ এবং ১৫ নম্বর খালের ওপর (বিমানবন্দরের অদূরে) ৪০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ। ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর রুবি সিমেন্ট সংলগ্ন সেতুর কার্যাদেশ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪ হাজার ৮৫৮ টাকায়। একইদিন গুপ্ত খালের ওপর সেতুর জন্য ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৬ টাকায় কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এছাড়া ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর ১৫ নম্বর খালের ওপর সেতুর জন্য ৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬০ টাকায় কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় রুবি সিমেন্ট ও গুপ্তখাল সেতুর সময়সীমা বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট এবং ১৫ নং খালের প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তিন সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ঠিকাদারদের ডেকে তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কড়া নির্দেশ দেন। এরপর ঠিকাদাররা সাইটে জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়িয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন।

** প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এগোচ্ছে তিন সেতুর নির্মাণকাজ

বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।