চরিত্র গঠন আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের শান্তি অগ্রগতি সম্ভব
চট্টগ্রাম: ‘আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে যুব সমাজের জন্য আলোকবর্তিকা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন লোকগুরু অসাম্প্রদায়িক ঋষি স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব। জগতের সামগ্রিক কল্যাণের মূলে যে চরিত্র সে কথা বিবেচনা করে ১৯১৪ সালে তিনি চরিত্র গঠন আন্দোলনের ডাক দেন। চরিত্র গঠন আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশের শান্তি ও অগ্রগতি সম্ভব। দেশ ও জাতির কল্যাণে এর কোন বিকল্প নেই। ’
সম্প্রতি রাউজানের কুণ্ডেশ্বরী ঘাটাস্থ চিগ্সু অখণ্ড মণ্ডলীর উপাসনা মন্দির প্রাঙ্গণে মণ্ডলীর উদ্যোগে অখণ্ড মণ্ডলেশ্বর স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের শুভ আবির্ভাব উৎসবে চরিত্র গঠনভিত্তিক ধর্মীয় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ডা. পরেশ চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন রাঙ্গুনিয়া ভূবনেশ্বরী বেদান্ত মঠের অধ্যক্ষ স্বামী উমানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনন্দ মোহন রক্ষিত, ডা. মৃদুল কান্তি দে, মিহির শীল, মনতোষ মজুমদার, সুভাষ দেব প্রমুখ। সভায় অখণ্ড সঙ্গীত পরিবেশন করেন জোটন শীল এবং অখণ্ড সংহিতা পাঠ করেন রাহুল চৌধুরী।
পলাশ তালুকদার ও হৈমন্তী দে হিমুর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মণ্ডলীর সাধারণ সম্পাদক তমাল ধর। অনুষ্ঠানে স্বরূপানন্দ সংগীত পরিবেশন করেন সুমন চৌধুরী, রুবেল চৌধুরী ও চিগ্সু অখণ্ড মণ্ডলীর শিল্পীরা।
সভায় বক্তারা স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব প্রবর্তিত সমবেত উপাসনার মাধ্যমে জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে মিলিত যে অপূর্ব সুযোগ রয়েছে তার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
দু’দিনব্যাপী আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকেলে নবযুগের নবীন বেদ পবিত্র অখণ্ড-সংহিতা পাঠ (শ্রীশ্রীস্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের উপদেশ বাণী), স্বরূপানন্দ বাণী লিখন প্রতিযোগিতা, প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, শুভ আবির্ভাব উৎসবের অধিবাস উপাসনা এবং হরিওঁ কীর্ত্তন সহকারে পল্লী পরিক্রমা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
আইএসএ/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।