ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তান কথা রাখেনি : নৌমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
পাকিস্তান কথা রাখেনি : নৌমন্ত্রী ছবি: সোহেল সরওয়ার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: একাত্তরে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকা পাক সেনাদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিরিয়ে নিলেও তাদের বিচার না করে পাকিস্তান তাদের দেওয়া কথা রাখেনি বলে অভিযোগ করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ১৯৫জন পাক সেনা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল।

  সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে বলে পাকিস্তান তাদের ফিরিয়ে নিয়েছিল।   কিন্তু পাকিস্তান তাদের বিচার করেনি।
  কথা রাখেনি।

বৃহস্পতিবার সকালে আনোয়ারায় অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমির ৫০তম ব্যাচের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বাংলার সব শ্রেণি পেশার মানুষ আজ তাদের বিচার চায়।   তাদের বিচার হলে বাংলার মাটি পাপমুক্ত হবে।  

মেরিন অ্যাকাডেমির ৫০তম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন লাভ করা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কর্মজীবনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে।   বিশ্ব দরবারে গিয়ে বাংলাদেশের সুনাম অর্জনে ভূমিকা রাখবে। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখবে। তোমরাই দেশকে এগিয়ে নিবে।

‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে মেধার পরিচয় দিতে হবে। আমার বিশ্বাস এসব শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে তাদের মেধার সাক্ষর রাখবে। বিশ্বের যে প্রান্তে থাক না কেন, দেশের কথা ভুলবে না।   দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করবে। ’

দেশের বিভিন্ন জায়গায় চারটি মেরিন অ্যাকাডেমির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এবছর মেরিন অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেছে ২৫১ জন। আর এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৭১ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়।   বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তোমাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নৌ বাণিজ্যের চাহিদা বেড়েছে।   তাই মেরিনারদের কর্মসংস্থানের সুযোগও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিক অশোক মাধব রায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এ এস এম আব্দুল বাতেন, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিউর রহমান ভুইয়া, মেরিন ফিশারিস একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান, ন্যাশনালমেরিটাইম ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক পান মো. সায়মন ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় পদক পান শেখ আবীর হাসান ও সৈয়দ আলবাব হাসান, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন(বিএসসি) পদক পান মো. সাখাওয়াত হোসেন, একাডেমী পদক পান মেমী আফরোজ ও তাসনিমুল বাহার, প্রাইম ব্যাংক স্বর্ণ পদক পান জামিউল আলম আরজু, ওয়েস্টার্ন মেরিন গ্রুপ পদক পান রিদোয়ান সাজিদ, প্রান্তিক গ্রুপ পদক পান সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট অফির্সাস এসোসিয়েশন পদক পান রবিউল হাসান এবং মুক্তিযোদ্ধা পাদক পান ফারজানা ইয়াসমিন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমইউ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।