চট্টগ্রাম: গায়ে গেঞ্জি। পরনে লুঙ্গি।
২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করায় পুলিশ। তারপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আনজুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ মরদেহটি দাফনও করা হয় চৈতন্য গলি কবরস্থানে। সমস্যা হচ্ছে মামলাটি নিয়ে। অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তির নাম-ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় মামলার তদন্ত কাজ শেষ করতে পারছে না পুলিশ।
এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় উদ্ধারের দিনই মামলা (নম্বর ৩৭) হয়েছিল। দণ্ড বিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারার মামলা। পুলিশের ধারণা হয়তো একাধিক আসামি অজ্ঞাত কোনো স্থানে ছবির মানুষটিকে হত্যা করে মরদেহটি সাগরে ফেলে দিয়েছিল, যা জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে আটকে গিয়েছিল নয়তো হত্যার পর ওই সেতুর নিচেই ফেলে গিয়েছিল।
বাকলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন (বর্তমানে বায়েজিদ থানার ওসি) এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন দেখে, আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের মনে হয়েছিল একই উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যক্তি অজ্ঞাত স্থানে খুন করে আলামত গায়েবের জন্য তাকে নদী বা সাগরে ফেলে দিয়েছিল। তাই আমরা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রেকর্ড করেছিলাম। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও হত্যা করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
একপর্যায়ে এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম শাখাকে। পিআইবি চট্টগ্রাম শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাকলিয়া থানার ৩৭ নম্বর মামলাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ কাজের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় বাধা মৃত যুবকের নাম, পরিচয় খুঁজে বের করা। নিহতের স্বজনদের খোঁজ পেলে খুনের প্রকৃত কারণ এবং কারা সন্দেহভাজন খুনি তা দ্রুত বের করা সম্ভব। ’
নিহত যুবকের পরিচয় সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন থানায় ওই যুবকের ছবিগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি যাতে পরিচয় জানা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও সহযোগিতা চাই আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এআর/আইএসএ/টিসি