ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিলবোর্ডে ‘খুনির’ ছবি দেখে শংকিত বাদলের স্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৬
বিলবোর্ডে ‘খুনির’ ছবি দেখে শংকিত বাদলের স্ত্রী ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান বাদল হত্যা মামলার আসামিদের ছবিসহ বিলবোর্ড দেখে শংকা প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগম।   বাদলের তিন হত্যাকারী বিদেশে বসে মামলার মোড় ঘুরানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।



শনিবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ করেন।

বাদলের স্ত্রী বলেন, নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিশাল বিশাল বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
  এই খবর দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে।   সম্পাদকীয়ও ছাপানো হয়েছে।  

‘চিহ্নিত ঘাতকদের পক্ষে সাফাই গেয়ে টাঙানো বিলবোর্ড সভ্য মানুষের বিবেককে আহত করেছে।   মামলার বাদি হিসেবে আমার মধ্যে সংশয় এবং শংকার সৃষ্টি হয়েছে।   শুনেছি আমার স্বামীকে হত্যার তিন পরিকল্পনাকারী বিদেশে বসে মামলার মোড় ঘুরানোর জন্য কলকাঠি নাড়ছে।   এজন্য আমি আরও বেশি উৎকন্ঠিত। ’ বলেন মোবাশ্বেরা।

তিনি বলেন, বাদল হত্যার আসামিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।   তারা প্রতিনিয়ত আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্য অনৈতিক চাপ দিচ্ছে।   এই পরিস্থিতিতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

পর্যপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান বাদলের স্ত্রী মোবাশ্বেরা।

মামলা তদন্তে ধীরগতি এবং এজাহারভুক্ত মাত্র দু’জন ছাড়া বাকি আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশার কথাও জানান মোবাশ্বেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বাদলের স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগম।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ন‍ূরুল আলম, বাদলের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ আলম, ছোট বোন কাকলি আক্তার, বড় ছেলে তানজীম হাসান তাজ, ছোট ছেলে তানিম হাসান, মেয়ে জাফরিন হাসান।

১ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে বাদলকে গুলি করে খুন করে দুর্বৃত্তরা।

মেহেদি হাসান বাদল নগরীর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করতেন।   এক দশক আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদেও তার এ পরিচয় উল্লেখ আছে।

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে বাদল ও তার সহযোগীরা মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।   হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে বাদলের মরদেহ চমেক হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মেয়র।

হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর ২২ জনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
আরডিজি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।