চট্টগ্রাম: লাল ড্রাগন দেখতে অভ্যস্ত মানুষ যখন হলুদ ড্রাগন দেখে তখন কৌতূহল বাড়ে। বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বিভিন্ন বাগান ও ছাদে হলুদ ড্রাগন চাষ হচ্ছে।
দেশের আবহাওয়া, মাটির উপযোগী, কৃষকবান্ধব, স্বাদ ও পুষ্টিমান নিশ্চিত করা হলুদ ড্রাগনের জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) চট্টগ্রাম।
এখানে ড্রাগন ঝোপে হলুদ ফলের মেলা। নিবিড় পরিচর্যা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, ফল সংগ্রহ, ওজন ও মিষ্টতা পরিমাপ নিয়মিত চলছে। হলুদ ড্রাগনের ভেতরে খাবার অংশটা সাদা।
বারি চট্টগ্রামের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুজ্জামান (বাদল) বাংলানিউজকে বলেন, দেশে ফলের প্রাচুর্য বাড়ানোর জন্য আমাদের গবেষকরা নিরলস কাজ করছেন। এখানে আমরা ভিয়েতনামের জাত এনে হলুদ ড্রাগন নিয়ে গবেষণা করছি। বেশ কিছু তিন বছর বয়সী মাতৃগাছ আছে আমাদের। দুই বছর ধরে ফল পাচ্ছি। এবার হলুদ ড্রাগন আকারে বড়, স্বাদে অতুলনীয় হয়েছে।
তিনি জানান, ফুল থেকে ফল হারভেস্ট করতে ২৫-২৮ দিন লাগে। লাল ড্রাগন প্রাকৃতিকভাবে পরাগায়ণ হয়। হলুদ ড্রাগনে একটু ব্যতিক্রম, এটি পরপরাগায়ন উদ্ভিদ। রাতের বেলা লাল ফুলের পরাগরেণু (পাউডার) হলুদ ফুলের গর্ভমুণ্ডে ব্রাশ করে দিলে পরাগায়ণ হয়ে যায়। তখন নিশ্চিত ওই ফল হারভেস্ট করা যাবে।
আমরা একটি গাছ (খুঁটি) থেকে ১৫-২০ কেজি হলুদ ড্রাগন পেয়েছি। আশাকরি দুই-এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের হলুদ ড্রাগন জাত অবমুক্ত হবে। এ জাত অবমুক্ত হলে দেশের কৃষকেরা পুষ্টিমান সমৃদ্ধ সুন্দর এ ফল চাষ করে আার্থিকভাবে লাভবান হবেন।
হলুদ ড্রাগন দেখতে এসেছেন ছাদবাগানি আকলিমা চৌধুরী। তিনি বলেন, নাটোর, চাঁদপুরে চার বছর আগে থেকে হলুদ ড্রাগন সীমিত আকারে হচ্ছে। তবে এখনো সহজলভ্য হয়নি। বাজারে তেমন পাওয়া যায় না। ফেসবুক ও নিউজে দেখেছি। বাস্তবে আমি এই প্রথম নিজের চোখে দেখলাম। রং মানুষকে বিশেষ করে শিশুদের আকৃষ্ট করে। সবুজ, বেগুনি, হলুদ ফুলকপি, হলুদ তরমুজের মতো হলুদ ড্রাগনও সাড়া ফেলবে। বারি হলুদ ড্রাগন জাত অবমুক্ত হলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা যাবে।
এআর/টিসি