চট্টগ্রাম: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চট্টগ্রামের আড়তদারেরা। এখন পুঁজি সংগ্রহ, এলাকাভিত্তিক বেপারী ঠিক করা, লবণ মজুদ, শ্রমিক সংগ্রহ ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় বেশিরভাগ চামড়ার আড়ত।
আড়তদারেরা বলছেন, লবণযুক্ত চামড়ার দামের সঙ্গে কাঁচা চামড়ার দামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বেশি দামে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্ত হন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পরে তারা দোষারোপ করেন আড়তদারদের। একটি ২০ ফুটের চামড়ায় প্রায় ৫০০ টাকা খরচ পড়ে। এ খরচের মধ্যে লবণ, শ্রমিকের মজুরি, পরিবহনসহ নানা ব্যয় যুক্ত থাকে। তবে এবছর লবণের দাম গত বছরের তুলনায় প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা কম। চট্টগ্রামে একটি মাত্র ট্যানারি থাকায় এবারও বেশির ভাগ চামড়ার গন্তব্য ঢাকার ট্যানারিগুলোতে।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়ার আড়তদার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার ট্যানারিগুলো বকেয়া টাকা পরিশোধ করছে। এখন গুদাম ঠিক করা, লবণ মজুদ ও শ্রমিক সংগ্রহের কাজ চলছে। কোরবানির দিন থেকে পরের ৩-৪ দিন বিভিন্ন উপজেলা থেকেও চামড়া আসবে আড়তে। এবার প্রায় ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। গত বছরও প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এদিকে এব|ছর কোরবানির পশুর লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর ঢাকার বাইরের চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে খাসি ও বকরির চামড়ার দাম ২ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
তবে আড়তদাররা জানান, চামড়া কেনার সময় ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে হিসাব করে চামড়া ক্রয় করা হয়। এতে প্রতি ফুটে ৫৫-৬০ টাকা পড়ে না। এছাড়া চামড়ার মানেও পার্থক্য থাকায় দামের হেরফের হয়।
পিডি/টিসি