ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

নারাইনের শেষের ঝড়ে কুমিল্লার জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
নারাইনের শেষের ঝড়ে কুমিল্লার জয়

বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে প্রায় আটকে দিয়েছিল সিলেট সানরাইজার্স। কিন্তু মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত ফিফটির পর শেষদিকে সুনীল নারাইনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নিল কুমিল্লা।

 

অষ্টম বিপিএলের ২৬তম ম্যাচে বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে কুমিল্লা। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। এই জয়ে ফরচুন বরিশালের পর প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে দলটি।  

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ২২ রানে লিটন দাস (৭) ও ফাফ ডু প্লেসির (২) উইকেট হারায় কুমিল্লা। কিন্তু এরপর মঈন আলীকে নিয়ে ৮২ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন মাহমুদুল হাসান জয়। দুর্দান্ত খেলতে থাকা মঈন ৩৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করে রবি বোপারার শিকার হন। এরপর কুমিল্লার অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১৬ রানের ইনিংস। তাকে বোল্ড করে ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু।

ইমরুল বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জয়। কিন্তু ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে জয় ও আরিফুল হকের উইকেট তুলে নেন আলাউদ্দিন বাবু। উইকেটরক্ষক এনামুল হকের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে জয় খেলেন ৫০ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। কিন্তু ১৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। তবে দারুণ জবাব দেন নারাইন। প্রায় একাই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেন তিনি।

শেষ ২ ওভারে ২২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় কুমিল্লার সামনে। ক্রিজে নারাইন। স্বাধীনের করা ওভারে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের ২ বাউন্ডারি, ১ ছক্কা ও ৩ ওয়াইডসহ আসে ১৯ রান। ফলে শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দরকার ছিল কুমিল্লার। আলাউদ্দিন বাবুর করা ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন আবু হায়দার।

বল হাতে অপু ও আলাউদ্দিন বাবু ২টি করে এবং স্বাধীন ও বোপারা ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় কুমিল্লা। তাদের আমন্ত্রণে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় সিলেট। দুই ওপেনার ইনগ্রাম ও এনামুল মিলে প্রথম ১০ ওভারেই তুলে ফেলেন ৯২ রান। দুর্ধর্ষ ব্যাটিং প্রদর্শনীতে ইনগ্রাম তুলে নেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৪৬তম ফিফটি। এর মধ্যে পঞ্চম ওভারে তিনি ১ ছক্কা ও ৩ চারে হাঁকিয়ে তুলে নেন ১৯ রান।  

ইনগ্রাম ও আনামুলের জুটি একসময় ১০০ রানও ছাড়িয়ে যায়। চলতি বিপিএলে যা তৃতীয় শতরানের জুটি। সেই সঙ্গে ৩০৮তম ম্যাচে এসে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৭৫০০ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন ইনগ্রাম। তবে এনামুল ফিফটি ছোঁয়ার আগেই বিদায় নেন। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ফাফ ডু প্লেসির অসাধারণ ক্যাচে শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রান।

বিজয় বিদায় নেওয়ার পর লেন্ডল সিমন্সকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ইনগ্রাম। কিন্তু তাদের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৩ বলের মোকাবিলায় ১৬ রান করে তানভীরের বলে সুনিল নারাইনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সিমন্স। এরপর অধিনায়ক রবি বোপারা মাত্র ১ রান করে নারাইনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। পরে ৮ বলে ১০ রান করা আলাউদ্দিন বাবু ফেরেন মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। আর ইনিংসের শেষ বলে ফিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ইনগ্রামের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৯ রান।

বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ১টি করে উইকেট গেছে নারাইন ও তানভীরের ঝুলিতে।  

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার মাহমুদুল হাসান জয়।

এই নিয়ে ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট হলো কুমিল্লার। দলটি আছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে ঘরের মাটিতে 'শেষ' ম্যাচ খেলা সিলেট মাত্র ১ জয় ও ড্রয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার নীচেই রইলো। আর ৯ ম্যাচে ৬ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছে শীর্ষে থাকা ফরচুন বরিশাল।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।