চট্টগ্রাম: কিছু মিস কমিউনিকেশনের কারণে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জারের মালিক কে এম রিফাতুজ্জামান।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) মিরাজের টিম হোটেল ছেড়ে যাওয়া নিয়ে হোটেল প্যানিসুলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মলিক রিফাতুজ্জামান ও মিরাজ।
এসময় রিফাত সাংবাদিকদের জানান, মিরাজের হোটেল ছেড়ে যাওয়া নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলি। সে আমার কথা রেখেছে। বর্তমানে সব কিছু ঠিক আছে। আগামীকাল মিরাজ খেলবে। কালকের খেলায় আমরা ফোকাস করতে চাই।
টিমে এমন সমস্যা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু মিস কমিউনিকেশনের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমি টিমের মালিক হলেও খেলা নিয়ে কোনো আলাপ হয় না। মিরাজ ক্যাপটেন থাকার সময়ও খেলা নিয়ে কথা হয়, তবে বিস্তারিত কোনো আলাপ হতো না।
পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে মিরাজ বলেন, দুপুর বারোটার দিকে আমাকে জানানো হয় আমি অধিনায়কত্ব করছি না। আমার কাছে অবাক লেগেছে, খেলারা আগ মুহূর্তে কেন বলতে হবে। অধিনায়কত্ব কে করবে তা টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবে অবশ্যই। কিন্তু খেলার আগ মুহূর্তে কেন?
‘আমাকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি (ইয়াসির, চট্টগ্রাম দলের সিইও) জানান, এটি ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। কোচ যাওয়ার সময় আমার পরিকল্পনা নিয়ে কিছু কথা বলে গেছে। পরে কোচের সঙ্গে কথা হওয়ার পর কোচ নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি এমন কিছু বলেননি। খেলার আগে টিম মিটিংয়ে কেন এ সিদ্ধান্ত জানাতে হবে? এমন সিদ্ধান্ত শোনার পর আমার নিজের কাছেই খারাপ লেগেছে। যথেষ্ট সময় নিয়ে তারা বলতে পারতো কথাগুলো। খোলোয়াড় হিসেবেই আমার কাছে বিষয়টি অপমান জনক মনে হয়েছে।
মিজার বলেন, এমন হতো যদি আমরা ৪টি ম্যাচেরই হেরেছি এবং আমার নিজে পারফরম্যান্স খারাপ ছিল। তাহলে মানা যেত।
টিমের সিইও ইয়াসিরের সঙ্গে কি সমস্যা ছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি মিরাজ বলেন, এই মিস কমিউনিকেশন গুলোই সমস্যার মূল কারণ। আমি তো কাউকে বলিনি আমাকে ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হোক।
কোন খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝামেলা আছে কিনা জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জারের সাবেক এ ক্যাপ্টেন বলেন, যে এই কথা বলেছে পুরোটাই মিথ্যা। টিমে বেশিরভাগেই আমার সমবয়সী। ২-৩ জন আমার সিনিয়ল রয়েছে। সকলের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। এই কথা গুলো যারা বলেছে তারা হয়তো ‘নিউজ’ বানানোর জন্য বলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
এমআর/টিসি/এমএমএস