ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

সাকিবকে জুয়ার জালে ফাঁসিয়েছিলেন হিথ স্ট্রিক!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
সাকিবকে জুয়ার জালে ফাঁসিয়েছিলেন হিথ স্ট্রিক!

দীপক আগারওয়ালের নাম বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের বেশ ভালোভাবেই মনে থাকার কথা। এই ভারতীয় জুয়াড়ির সঙ্গেই চ্যাট করে আইসিসি কর্তৃক এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

 

দীপক আগারওয়ালের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও আইসিসির কাছ থেকে গোপন করেছিলেন সাকিব। তখন একটা প্রশ্ন উঠেছিল, সাকিবের ফোন নাম্বার জুয়াড়িদের কাছে গেল কীভাবে। দুই বছর পর নতুন এক ঘটনায় অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গেছে সেই ঘটনা। যাতে জড়িয়ে গেছেন হিথ স্ট্রিক।

আইসিসির দুর্নীতি দমন নীতিমালার পাঁচটি ধারা ভাঙার দায়ে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও দেশটির কিংদবন্তি পেসার হিথ স্ট্রিককে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সাবেক এই পেস বোলিং কোচের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর কোচিংয়ে জড়ান স্ট্রিক। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কোচ হিসেবে তিনি জিম্বাবুয়ে জাতীয় দল থেকে শুরু করে আইপিএল, বিপিএল এবং আফগান প্রিমিয়ার লিগসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ সময়কালে বেশ কিছু ম্যাচ নিয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

স্ট্রিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এসব টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করার সময় দলের গোপন তথ্য পাচার করেছেন তিনি। এসব তথ্য জুয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়। আইসিসি এমনকি সরাসরি সিরিজ ও টুর্নামেন্টের নামও উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে আছে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজও।  

কোচ হিসেবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাবেক এই জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের। টাইগারদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের সব খুঁটিনাটি জানতেন স্ট্রিক। তাদের সবার ফোন নাম্বারও ছিল স্ট্রিকের কাছে।  

আইসিসি বলছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করে টাকা আয়ের প্রস্তাবের মাধ্যমে আগারওয়াল প্রথম স্ট্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরের বছর ডিসেম্বরে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের নজরে আসার পর দুজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ২০১৭ বিপিএলের সময় স্ট্রিককে ব্যবহার বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ভেতরের তথ্য বের করেন আগারওয়াল।

ওই সময় আগারওয়ালকে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের ফোন নম্বর ও অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগের ঠিকানা দেন স্ট্রিক। আইসিসির বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন তখন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এই 'অধিনায়ক' নিয়েই দুয়ে-দুয়ে চার মেলানো যাচ্ছে। কারণ, ওই সময় সাকিব ছিলেন বিপিএল দল ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক। এর কিছুদিন পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের মাঝে আগারওয়াল সাকিবকে মেসেজ করেন, 'আমরা কি এখানেই করব নাকি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব?' মূলত এই ম্যাসেজটাই সাকিবের কাল হয়ে দাঁড়ায়।  

আরও পড়ুন- দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ স্ট্রিক

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।