ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

ক্রিকেট

শান্ত-মুশফিকের ফিফটিতে সিলেটের বড় পুঁজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
শান্ত-মুশফিকের ফিফটিতে সিলেটের বড় পুঁজি ছবি : শোয়েব মিথুন

বিপিএলে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুরুতে চাপে পড়লেও নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে বড় পুঁজি পায় প্রথমবার ফাইনাল খেলতে আসা দলটি।

জয়ের জন্য ১৭৬ রান করতে হবে ইমরুল কায়েসের দলকে।  

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে প্রথম ওভারটা  একদমই পক্ষে যায়নি তাদের।  আন্দ্রে রাসেলের করা সেই ওভারে ১৮ রান তোলে সিলেট। কিন্তু পরের ওভারেই ম্যাচে ফিরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নিজের করা প্রথম বলেই রানের খাতা না খোলা তৌহিদ হৃদয়কে বোল্ড করেন তানভীর ইসলাম। গত কয়েক ম্যাচের মতো এবারও উপরে ব্যাট করতে নামেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অধিনায়ক হিসেবে  বিপিএলে এটি তার শততম ম্যাচ। কিন্তু গত ম্যাচের মতো এবার ব্যাট ঝড় তুলতে পারেননি সিলেট অধিনায়ক, ফেরেন কেবল এক রানেই। রাসেলের বলে কাভারে থাকা ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

২৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সিলেট। কিন্তু  নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তারা।  তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৯ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। এর মাঝে শান্ত ছুঁয়ে ফেলেন এক আসরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০০ রানের মাইলফলক। যার জন্য ফাইনালে ৪৮ রান দরকার ছিল তার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ইনিংসের দশম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের ওয়াইড লেংথের বলে চার মেরে সেই কীর্তি গড়েন শান্ত।  ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান এই ব্যাটার। কিন্তু ৪৫ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৬৪ রানেই থামতে হয় তাকে।     

ইনিংসটি খেলার পথে দুইবার জীবনও পান শান্ত। অষ্টম ওভারে তানভীর ইসলামের বলে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন শর্ট মিডউইকেটে থাকা ইমরুল কায়েস। কিন্তু শান্তর শটের জোর এতোটাই ছিল যে তা তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন কুমিল্লা অধিনায়ক। তাতে ৫১৬ রান নিয়ে আসর শেষ করলেন শান্ত। বাঁহাতি এই ওপেনারের মুশফিক যোগ্যসঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। একে একে বিদায় নেন রায়ান বার্ল (১৩), থিসারা পেরেরা (০), জর্জ লিন্ডা (৯) ও জাকির হাসান (১)। মুস্তাফিজের শিকার হওয়ার আগে দুইবার জীবন পান লিন্ডা। পরপর দুই বলে তার ক্যাচ ছাড়েন মঈন আলী ও লিটন দাস। তবে মুশফিক অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৪ রান করেন তিনি। রাসেলের করা শেষ ওভার থেকে একাই তোলেন ১০ রান। তাতে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট।  কুমিল্লার হয়ে মুস্তাফিজ দুটি, রাসেল, নারাইন, তানভীর ও মঈন নেন একটি করে উইকেট।        

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩

এএইচএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।