ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আদালত

নালিশি দরখাস্ত করা যাবে: সুপ্রিম কোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
নালিশি দরখাস্ত করা যাবে: সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা: করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি দরখাস্ত দাখিল করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

শনিবার (১১ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি প্র্যাকটিস নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিগণের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল/চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি দরখাস্ত দাখিল করা যাবে।

 

এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এজলাস কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট আদালত নালিশি দরখাস্ত দাখিল পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আদালতে নালিশি দরখাস্ত দাখিল এবং অভিযোগকারীপক্ষকে পরীক্ষান্তে জবানবন্দি গ্রহণের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করবেন যাতে আদালত প্রাঙ্গণে ও ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ জনসমাগম না ঘটে। আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে প্রত্যেককে কমপক্ষে ৬ (ছয়) ফুট শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল প্রকার জনসমাগম পরিহার করতে হবে।

আদালত প্রাঙ্গণ এবং ভবনে জনসমাগম এড়াতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক নালিশি দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটগণের আঞ্চলিক এখতিয়ার নির্ধারণ করতঃ নালিশি দরখাস্ত গ্রহণ ও শুনানির ব্যবস্থা করবেন।

নালিশি দরখাস্ত শুনানিকালে শুধুমাত্র উক্ত দরখাস্ত সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও অভিযোগকারীপক্ষ এজলাস কক্ষে উপস্থিত থাকবেন। অভিযোগকারীকে আইনানুযায়ী পরীক্ষা করতঃ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অভিযোগকারীর স্বাক্ষর গ্রহণ ও আদেশ দানের পরে আইনজীবী ও অভিযোগকারীপক্ষ এজলাস কক্ষ ত্যাগ করলে দুই মিনিট বিরতির পর পরবর্তী দরখাস্তের অভিযোগকারীপক্ষ ও আইনজীবী এজলাস কক্ষে প্রবেশ করবেন।

এজলাস কক্ষে একত্রে ৬ (ছয়) জনের অধিক লোকের সমাগম করা যাবে না।

এজলাস কক্ষে প্রত্যেককে আবশ্যিকভাবে মুখাবরণ (ফেস মাস্ক) পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে। আদালতে প্রবেশের সময় প্রত্যেক বাক্তির শারীরিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশাক। এজলাস কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে বজায় নিশ্চিত করণার্থে তাৎক্ষণিক উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনবোধে নালিশি দরখাস্ত গ্রহণ ও শুনানি করা থেকে বিরত থাকাসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ প্রদান না করা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩, জুলাই ১২, ২০২০
ইএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।