ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

বাস্তুচ্যুত হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
বাস্তুচ্যুত হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ

খুলনা: জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে আগামীতে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততা ৬ শতাংশ বাড়বে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) খুলনায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু অর্থায়ন সংশ্লিষ্ট সংবাদ পরিবেশন বিষয়ক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের আয়োজনে নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির লজিক প্রকল্পের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম।

কর্মশালায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার আয়তন প্রায় তিন হাজার বর্গ কিলোমিটার বাড়বে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সঠিক নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

এছাড়া কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খুলনাঞ্চলে সৃষ্ট সমস্যা ও তার সমাধানকল্পে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে জলবায়ু তহবিল ব্যবহারে খুলনার উপকূলীয় এলাকা অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবী রাখে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত পানির প্রবেশ বন্ধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের এই খাতে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সঠিক ও তথ্য নির্ভর সংবাদ পরিবেশনে সহায়তা করতে হবে।

কর্মশালায় খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সহকারী তথ্য অফিসার মো. আতিকুর রহমান মুফতি, লজিক প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ক্লাইমেট চেঞ্জ কো-অর্ডিনেটর শেখ ফয়সাল শাহ, লজিক প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ক্লাইমেট ফাইন্যন্স কো-অর্ডিনেটর মো. আসাদুল হকসহ খুলনায় কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০ , ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।